কলকাতা: কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর এই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দল। এবারের বিধানসভা নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিক দেখাবে, না কি হবে পরিবর্তন, সেই নিয়ে এখন বিস্তর তর্ক চলতেই পারে। কিন্তু জনমত সমীক্ষা যে দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে ফের একবার নবান্নে দেখা যাবে হাওয়াই চটি। সি ভোটার সংস্থার চালানো জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অধিকাংশ রাজ্যবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে সন্তুষ্ট এবং তাঁকেই ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
সি ভোটার সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে, রাজ্যের ৪৩ শতাংশ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে সন্তুষ্ট। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকেই তারা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। এদিকে ৩২ শতাংশ মানুষ রাজ্য সরকারের কাজ নিয়ে আংশিক সন্তুষ্ট। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও তারা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখছেন। অন্যদিকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের প্রতি ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে ২২ শতাংশ মানুষের। এই অসন্তোষের কারণ আমফান দুর্নীতি থেকে শুরু করে কাটমানি এবং চিটফান্ড কাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি ৩ শতাংশ এখনই বলতে পারছেন না তারা কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তবে এই সমীক্ষা প্রত্যক্ষভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে রাজ্যের বেশিরভাগ অধিবাসী ফের একবার নবান্নে দেখতে চাইছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।
সামগ্রিক ভাবে কে এগিয়ে, বিজেপি না তৃণমূল কংগ্রেস, কে বেশি জনপ্রিয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই নিয়ে গোটা দেশজুড়ে কমপক্ষে ৩০,০০০ ভোটারের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষা গঠন করেছে এবিপি আনন্দ ও সি ভোটার। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোন বিকল্প আছে কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরে ৫০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন কোন বিকল্প নেই। এদিকে ৩৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন অবশ্যই বিকল্প আছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোন বিরোধী নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে টক্কর দিতে পারেন এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং রাহুল গান্ধীর মধ্যে কেউ প্রধানমন্ত্রীকে টক্কর দিতে পারবে না। কে টক্কর দিতে পারেন এই প্রশ্নে রাহুল গান্ধী ভোট পেয়েছেন ২৬ শতাংশ, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোট পেয়েছেন ২২ শতাংশ এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট পেয়েছেন সবচেয়ে কম, ৮ শতাংশ।