হাওড়া: পশ্চিমবাংলার বিধানসভার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন অস্বস্তি বেড়েই চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা ছিলই, তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর চরম অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল, এরই মধ্যে আবার হাওড়ার বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে নিয়ে বিতর্ক শুরু। তার বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনলেন তৃণমূলেরই এক নেতা! একইসঙ্গে বালিতে পড়ল বিতর্কিত পোস্টার। যা বৈশাখীর উদ্দেশ্যে বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
তৃণমূলের প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম প্রকল্প গীতাঞ্জলি। এই প্রকল্পের টাকাই নয়ছয় করেছেন বলে বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই নেতা। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সময় মত তাঁকে কখনোই এলাকায় পাওয়া যায় না। সাধারণ মানুষের কাজে আসা তো দূর, দেখাই মেলে না তৃণমূল বিধায়ক বৈশালীর। এই বিস্ফোরক অভিযোগের মধ্যেই বালিতে এক পোস্টারকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বালিতে যেন কোন বহিরাগতকে প্রার্থী করা হয়, বালির মানুষকেই প্রার্থী করা হয়! এই পোস্টারের উদ্দেশ্য যে বৈশালী ডালমিয়া তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তার কারণ পোষ্টের নিচে উল্লেখ করা হয়েছে সেটি তৃণমূল সক্রিয় কর্মীবৃন্দের তরফে দাবি। অর্থাৎ এককথায়, তৃণমূলের একাংশই বৈশালী ডালমিয়াকে এই এলাকায় আর চাইছে না। এই পোস্টার ঘিরে আপাতত জোর চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।
বালি বিধানসভা এলাকার একাধিক জায়গায় এই ধরনের পোস্ট আরে স্বাভাবিকভাবেই আবারও নতুন করে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, কোথায় কে প্রার্থী হবেন তা ঠিক করেন দলনেত্রী, তাই কারোর কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি নেতৃত্বকে জানাতে হবে। অন্যদিকে বৈশালীর দাবি, দলের একাংশ ঘোরতর দুর্নীতিতে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যই এখন তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, তিনি সবসময় মানুষের পাশে রয়েছেন, তাদের হয়ে কাজ করবেন।