আদ্রা: পুরুলিয়ার আদ্রায় নিহত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের খুনের ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে পুলিশ। এরপরেই সাফল্য মিলল। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে তারা। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও পেয়েছে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। পুলিশ সূত্রে খবর, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার বাড়ি বিহারে।
খুনের ঘটনার পর দিন পুরুলিয়ার বেতো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী আরশাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে তখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। সিট গঠিত হওয়ার পরেই মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল পুলিশের জালে। তাঁর বাড়ি বিহারের জামুই এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় পার্টি অফিসে থাকাকালীন গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবেকে। গুলিবিদ্ধ হন ধনঞ্জয়ের নিরাপত্তারক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল শেখর দাসও৷ দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ধনঞ্জয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। শেখর এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলে খবর।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধনঞ্জয়ের দাদাকে ফোন করে তাঁদের পারিবারিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাড়িতে কে কে আছেন, পরিবারের আর কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কি না, তা জানতে চান৷ পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ছিল তাঁর। তবে এখন ওই ঘটনার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত পুলিশের জালে।