কলকাতা: নবান্ন অভিযান শেষে ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে উঠে ছিল। সরাসরি আঙুল তোলা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের দিকে। অভিযোগ করা হয়েছিল, পুলিশের অমানবিক লাঠিচার্জের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই কর্মীর। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, পুলিশের লাঠির আঘাতে নয়, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ডিওয়াইএফআই কর্মীর।
জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুলিশের লাঠির আঘাতে নয়, অসুস্থতার কারণে মইদুলের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদপিণ্ড থেকে শুরু করে ফুসফুস এবং কিডনির মত অঙ্গ বিকল হওয়ায় প্রবল ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার। তবে ওই ডিওয়াইএফআই কর্মীর পায়ে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে পড়ে যাওয়ার ফলে ওই ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে মৃত্যুর কোন সম্পর্ক নেই। এতদিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল পুলিশের কারণেই মৃত্যু হয়েছে মহিদুল ইসলামের। কিন্তু এখন ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট সামনে আসায় নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে যে, নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত করবে না। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না তা একেবারেই বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রেল ভবনে আগুন: ঝলসে মৃত ৯, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা কেন্দ্র-রাজ্যের! দায়ের গাফিলতির মামলা
উল্লেখ্য, পুলিশের লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বামেদের তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল। এরপর তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দুইবার তার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশের লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বামেদের তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল। এরপর তার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দুইবার তার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই তার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং তার স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই তার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং তার স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে।