কলকাতা: সাংবাদিকদের “দু’পয়সার” বলে ব্যঙ্গ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি, কার্যত গোটা বাংলা জুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল তার রেশ পৌঁছে গিয়েছিল বাইরেও। কিন্তু সমালোচনা বিতর্কে তাঁর যে কিছুই আসে যায় না বারবার সে কথাই জোর গলায় বলে এসেছেন মহুয়া মৈত্র। এহেন তৃণমূল সাংসদকে নিয়েই এবার মুখ খুললেন প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন।
আরও পড়ুন- ফের বঙ্গে শাহী সফর, পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে ঠাকুরনগরে পা রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গ তৃণমূলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য উত্তরসূরি কে? বেশ কিছুদিন ধরেই এ প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। পরিবারতন্ত্রের এই সম্ভাবনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরাও। কিন্তু তসলিমা নাসরিন মনে করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য উত্তরসূরি কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভার বাজেট অধিবেশনে মহুয়া মৈত্রের ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে তসলিমা নাসরিন রীতিমতো সোচ্চার হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বস্তুত, সোমবার লোকসভার বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এক দীর্ঘ বক্তৃতা পেশ করেন মহুয়া মৈত্র। আর তারপরেই রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে ফের চর্চায় উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর ভাষণের প্রশংসা কিংবা সমালোচনায় সামিল হয়েছেন অনেকেই। এদিন নিজের ফেসবুক পেজ থেকে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন তসলিমা নাসরিন। মহুয়া মৈত্রের বুদ্ধিমত্তা, এবং বাকপটুতায় তিনি মুগ্ধ, জানিয়েছেন সেই কথা। কিন্তু সেই সঙ্গে সংসদের নিম্নকক্ষে সাড়া জাগানো এই তৃণমূল নেত্রীর প্রতি কিছু প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের কবি তথা সাহিত্যিক তসলিমা।
আরও পড়ুন- রাজ্যের তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো, দিনের আলোর মতো স্পষ্ট: সূর্যকান্ত
মহুয়া মৈত্রের উদ্দেশ্যে তসলিমা নাসরিনের প্রশ্ন, “কলকাতা থেকে এক লেখকের ‘নিষ্ঠুর নির্বাসন’ নিয়ে অথবা কলকাতায় আমাকে ফের স্বাগত জানাতে আপনি কি একইরকম ভাবে সরব হবেন?” এ প্রসঙ্গে সরকারকে ঠুকতেও ছাড়েননি তসলিমা নাসরিন। জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্রের ‘বস’ সেটা একেবারেই পছন্দ করবেন না। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণনগরের সাংসদকে প্রকৃত সাহসী হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এদিন ট্যুইটার পোস্টে তসলিমা নাসরিন জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্রের সমস্ত বুলি কেবলমাত্র বিরোধী দলের জন্যেই প্রযোজ্য হয়, তাঁর নিজের দল ঠিক কতটা নিখুঁত, তুলেছেন সেই প্রশ্নও। আদতে যে বুদ্ধিমতী বা সাহসী কোনোটাই নন মহুয়া, তসলিমা নাসরিনের সমালোচনায় উঠে এসেছে সেই সিদ্ধান্তই।