অধরা অবস্থান, বাঙালি আবেগে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন শুভেন্দু

অধরা অবস্থান, বাঙালি আবেগে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন শুভেন্দু

মহিষাদল: মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাদের পর থেকেই সরগরম বঙ্গ রাজনীতি৷ তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে বসেছেন রাজনীতির কারবারিরা৷ রবিবার মহিষাদলে প্রয়াত প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী রঞ্জিত বয়ালের স্মরণ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেন কিনা, তা জানতে মুখিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল৷ কিন্তু এদিনও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন না শুভেন্দু৷ বরং বাংলা ও বাঙালির আবেগেই ভাসলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- অবস্থান অধরাই! মহিষাদলে শুভেন্দুর কথায় শুধু বাংলা, বাঙালি, আবেগ

এদিনের সভা থেকে রাজনৈতিক বার্তা না দিলেও তিনি বলেন, সংবিধানের শক্তিতে মানুষই শেষ কথা বলে। দল ছাড়া নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করলেন না রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী৷ মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এদিন তাঁর জনসভায় উপস্থিত হয়েছিল প্রায় আট হাজার মানুষ৷ অন্যদিকে এদিনই শুভেন্দু গড় হলদিয়ায় বিশাল মিছিল করলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হল তৃণমূলের দলীয় পতাকায়৷ রাস্তার পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট৷ কড়া বার্তা দিতেই শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুকে এই মিছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ আবার প্রায় একই সময় হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু এদিন মহিষাদলের স্মরণসভায় রাজনীতি নিয়ে রা কাড়লেন না শুভেন্দু অধিকারী৷ রণংদেহী রূপ নয়, বদলে তিনি ছিলেন শান্ত মেজাজে৷  

আরও পড়ুন- ‘আমার নামেও তো পোস্টার পড়ে’, শুভেন্দুর পোস্টার নিয়ে প্রতিক্রিয়া অনুব্রতর

উল্লেখ্য বিষয় হয়, শনিবার মহিষাদলের এই মঞ্চের পাশেই দেখা গিয়েছিল শিবসেনার পতাকা৷ যা রাজনীতির আঙিনায় ফের জল্পনা উস্কে দেয়৷ কেন শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় শিবসেনার পতাকা লাগানো হল সেই উত্তরই খুঁজছে রাজনৈতিক মহল৷ কিন্তু এদিনের সভা থেকেও মিলল না কোনও সদুত্তর৷ বোঝা গেল না শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান৷ এদিন স্বাধীনতাসংগ্রামী রঞ্জিত বয়ালের স্মরণসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের সংবিধানে বলা আছে অফ দা পিপল, বাই দা পিপল, ফর দা পিপল৷ বিপুল জনসমুদ্রকে সামনে রেখে দায়িত্ব পালন করে যাব৷ আমি দায়বদ্ধ৷ বাংলা ও বাঙালির সেবক হিসেবে কাজ করে যাব৷ এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি৷’’ পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস, ১৫ ডিসেম্বর সর্বাধিনায়কের জন্মদিবস এবং ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও জনতা জনার্দনকে নিয়েই তা পালন করবেন৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − eighteen =