কলকাতা: ‘ম্যাগ্মা এম-স্কলার ২০২০’-এর মেধা তালিকা প্রকাশ করল ম্যাগ্মা ফাউন্ডেশন। তালিকায় ছেলেদেরকে ছাপিয়ে গিয়ে নজির গড়ল মেয়েরা। ১০০ জনের মেধা তালিকায় ৫২ জন ছাত্রী এবং ৪৮ জন ছাত্র৷ ২০১৫ সাল থেকে এই ফাউন্ডেশন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ প্রদান করছে। এটি তাদের ষষ্ঠ বছর। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ প্রদান করেছে ফাউন্ডেশন। এই বছর সেই সংখ্যাটা ৫০০ পেরলো।
এই তালিকা ঘোষণা করার সময় সংস্থার সিএসআর কৌশিক সিনহা বলেন, “উচ্চমানের শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই একটি সফল দেশের নির্মাণ হয়। ম্যাগ্মা গরিব পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য তৈরি ‘এম-স্কলার’ প্রজেক্ট এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে নিজের উদ্দেশ্য ‘ছোট স্বপ্নে বিনিয়োগ’এর ধারাকে অব্যাহত রেখেছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের ৫০ শতাংশ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল তাদেরকে শিক্ষার মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা। ম্যাগ্মা স্কলার ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এদের মধ্যে অনেকেই এখন নিজের পেশায় নিজেদের সু-প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা আশা রাখি আমাদের সব অ্যালিউমনিরাই সফল ব্যক্তি, চিন্তাবিদ, উদ্ভাবক এবং ভবিষ্যতের প্রখ্যাত নেতৃত্ব হয়ে উঠুক।”
সারা দেশের প্রায় ১০০০ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে স্কলারদের বাছাই করা হয়েছে। ১২টি রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছে ১০৮ জন ছেলেমেয়ে। যদিও ৮ জন এখনও তালিকায় অপেক্ষারত রয়েছেন। বাকি ১০০ জনের মধ্যে ৫২ জন মহিলা এবং ৪৮ জন পুরুষ। এদের মধ্যে ৫৫ জনের ৯৬ শতাংশের বেশি নম্বর রয়েছে। ৪৫ জনের নম্বর ৯৬%-এর নিচে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন বোর্ডের শীর্ষ স্থান অধিকারী। বেশিরভাগ পরিবারেরই আয় মাসিক ৩৫০০ থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যে। কারোর পিতা-মাতা দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন, কারোর ড্রাইভার, রাজমিস্ত্রি কিংবা পেইন্টার, কারোর পিতা সাইকেল মেরামতির মেকানিক, দর্জি ও কৃষক ইত্যাদি।
কলকাতা ভিত্তিক সংস্থা ম্যাগ্মা ফাউন্ডেশন এই কাজ ২০১৫ সাল থেকে করে আসছে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ‘গ্রামীণ ভারত’এর উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কথা বিবেচনা করে গুরুত্ব সহকারে পরিচালনা করা। সমাজের গরিবের বঞ্চিতদের সাহায্য করে সমাজের উন্নতির জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে তারা। প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে ঠিক এমনই দাবি জানিয়েছে ম্যাগ্মা ফাউন্ডেশন৷