কলকাতা: শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোয় মদন মিত্র৷ সেখানে গিয়ে মনের আনন্দে ঢাক বাজালেন তিনি৷ ঢাকের তালে পা মেলালেন নাচের ছন্দে৷ সাঁওতালি গানে সাঁওতালি মেয়েদের হাত ধরে নাচলেন কামারহাটির বিধায়ক৷ জমে উঠল রাজবাড়ির পুজো৷ প্রসঙ্গত, শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো এবার ২৬৫ বছরে পা দিল৷ ষষ্ঠীতে রাজবাড়ির পুজোয় সামিল হন ‘কালারফুল’ মদন মিত্র৷ এদিন তাঁর পরনে ছিল হলুদ রংয়ের পাঞ্জাবী আর মেরুন রংয়ের ধুতি৷ চোখে কালো রোদ চশমা৷
আরও পড়ুন- ত্রিপুরার বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিজন ধর প্রয়াত, আজই দেহ পৌঁছবে আগরতলায়
গতকাল পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ওহ লাভলি গানটি গেয়েছিলেন মদন মিত্র৷ সেই সঙ্গে দলত্যাগীদের একহাত নিয়েছিলেন বিধায়ক৷ বনগাঁর শিমুলতলা আয়রন গেট স্পোটিং ক্লাবে পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে গানের মাধে শুভেন্দু অধিকারীকে কুমরো বলে কটাক্ষ করেন তিনি৷ মদন মিত্র বলেন, ‘‘কুমড়োগুলো ফুলো ফুলো, অনেক দামে বিক্রি হল। সঙ্গে ছিল ঢাঁড়শ মুলো। ওরা সব ব্যাক করল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বাংলার ক্রাশ হতে চাই না। আমি চাই বিজেপি দাঙ্গা করলে বনগাঁয় ওদের ত্রাস হতে।’’ তাঁর কথায়, মদন মিত্র থাকবেন, আর সেখানে রাজনৈতিক শ্লেষ থাকবে সেটা হতে পারে না।
মদন মিত্রের বক্তব্যে একটা কথা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছিল, ভোটের পরে তাঁদের ফিরে আসা নিয়ে অন্য অনেকের মতো তিনিও অসন্তুষ্ট। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে ফেরে ঘরওয়াপাসি করেছেন সব্যসাচী দত্ত।