কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে আজই ছাড়া পাচ্ছেন নারদ মামলায় অভিযুক্ত মদন মিত্র৷ শুক্রবার নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি৷ এর পর রবিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মদন মিত্র৷ পুজো করে হাসপাতাল থেকে বেরন কামারহাটির বিধায়ক৷
আরও পড়ুন- মোদী-মমতার কাজে কতটা খুশি মানুষ? প্রধানমন্ত্রী পদেই বা এগিয়ে কে? কী বলছে সমীক্ষা
আজ সকালে হাসপাতালে এসে পৌঁছন পুরোহিত৷ হাসপাতালেই পুজো করেন তিনি৷ এর পর এসএসকেএম থেকে বেরন মদনবাবু৷ তাঁর পরনে ছিল লাল ধুতি ও লাল পাঞ্জাবি৷ তাঁকে স্বাগত জানাতে হাসপাতালের বাইরে উপস্থিত হন তাঁর অনুগামীরা৷ হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে মদনবাবু বলেন, ‘‘কোনও সাংবাদিক বৈঠক বা কারও সঙ্গে আমি কথা বিনিয়ম করছি না৷ আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ৷ ন্যায় বিচার করে আদালত আমাকে জামিন দিয়েছে৷ আমার উপর নির্দেশ রয়েছে কোনও অবস্থাতেই আমি যেন সাংবাদিক বৈঠক না করি৷ এছাড়াও এই মামলায় কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বা বিঘ্ন সৃষ্টি করে এমন কোনও কাজের সঙ্গে যেন যুক্ত না থাকি৷’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি একজন সাধারণ মানুষ৷ ২৯৪ জনের মধ্যে একজন বিধায়ক মাত্র৷ যাঁরা আজ হাসপাতালে এসেছেন তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি৷’’
কামারহাটির সাংসদ বলেন, ‘‘এখান থেকে বেরিয়ে বাড়িতে যাব৷ তবে এখন আর গৃহবন্দি থাকার শর্ত নেই৷ তাই স্বাভাবিক কাজ করতে পারব৷ তবে মামলা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করব না৷’’ এর পর ‘বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ গানও করেন মদনবাবু৷ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি মরোণাপন্ন হয়ে এসেছিলাম৷ এসএসকেএম-এ যাঁরা আমার চিকিৎসা করেছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার নাকে লাম্প রয়েছে, ফুসফুসে প্যাচ দেখা দিয়েছিল। মুখ থেকে রক্ত বেরচ্ছিল। করোনা পরবর্তী সমস্যাও ছিল শরীরে। কিন্তু পিজি’র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে সুস্থ করে তুলেছেন।’’
তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নিজস্ব কৌশলেই তা এড়িয়ে যান মদনবাবু৷ বলেন, ‘‘আমার কোনও কিছু প্রাক্তন নেই৷ আমি লয়ালিস্ট৷’’ হাসাপাতাল থেকে বেড়িয়ে তিনি মাজারে যাবেন বলেও জানান৷ সেখানে গিয়ে চাদর চড়াবেন তিনি৷