ফের শ্বাসকষ্ট মদনের, অক্সিজেন সাপোর্টে আপাতত স্থিতিশীল

ফের শ্বাসকষ্ট মদনের, অক্সিজেন সাপোর্টে আপাতত স্থিতিশীল

কলকাতা: নারদা মামলায় গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাতেই অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ফের একবার হাসপাতলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর এবং সেই প্রেক্ষিতে তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন তিনি আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন। মদন মিত্রের শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছিল।

গতকাল প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পরেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসএসকেএমে ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে আবার অক্সিজেনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল তাঁর। সেই প্রেক্ষিতে ফের একবার অক্সিজেন দেওয়া হয় মদন মিত্রকে। তবে এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিধানসভা ভোটের মধ্যেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মদন মিত্র। এবার একবার ফের তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস পরবর্তী সমস্যা ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এই মুহূর্তে তিনি স্থিতিশীল এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত গতকাল নিম্ন আদালতের রায়ের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর জেল হেফাজতে যেতে হয়েছে নারদা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। রাতেই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হন শারীরিক অসুস্থতার কারণে। পরবর্তী ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গতকাল রাত থেকেই রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। যদিও তাঁরও শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে। 

জেলেই শারীরিক পরীক্ষা করা হয় ফিরহাদ হাকিমের৷ জেলের চিকিৎসকরাই তাঁর পরীক্ষা করেন৷ সকালে প্রেসিডেন্সি জেলে যান ফিরহাদ-কন্যা৷ তিনি জানান, ফিরহাদ হাকিম শারীরিক ভাবে সুস্থ আছেন৷ কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন না৷ সে কারণেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছেন৷ তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিল, এখন যাতে কাউকে গ্রেফতার করা না হয়৷ এতে সংক্রমণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তার উপর ববি হাকিম কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন৷ এই সময় প্রত্যেক দিন উনি কাজে বেড়িয়েছেন৷ যাতে কলকাতার মানুষ, বাংলার মানুষ সুস্থ থাকে, ভালো থাকে৷ সেই সময় ওঁনাকে এখানে ঢোকানো হল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =