কর্মীদের দায়বদ্ধতা আরও বাড়ছে, কে গেল কিছু এসে যায় না: সৌমেন্দু প্রসঙ্গে মদন

তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যে কেউ চলে যেতে পারে, কে গেল তাতে কিছু এসে যায় না।

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যকর চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল নিজের ঘরে পদ্ম ফোটানোর। সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিয়েই নতুন বছরের প্রথম দিন নিজের ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে বিজেপিতে নিয়ে এলেন তিনি। তার আগে অবশ্য সৌমেন দূর অপসারণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে জল্পনা সত্যি করেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে ফুটল পদ্ম, বিজেপিতে গেলেন সৌমেন্দু অধিকারীর। যদিও এই প্রসঙ্গে একেবারেই চিন্তা করতে নারাজ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যে কেউ চলে যেতে পারে, কে গেল তাতে কিছু এসে যায় না।

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান দেওয়ার পরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। প্রাথমিক পর্যায়ের সকলেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো ঘরোয়া কোন্দল শুরু হয়ে যাবে কাঁথির অধিকারী পরিবারে। কিন্তু একের পর এক যে সমস্ত ঘটনা ঘটলো তাতে পুরো অধিকারী পরিবারের দলবদল করা হয়তো সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই সৌমেন্দু অধিকারীর অপসারণ নিয়ে বেঁকে বসেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী, তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারীও। যদিও এই ব্যাপারে একেবারেই চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সৌমেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে মদন মিত্রর দাবি, যে কেউ দল ছাড়তে পারে, তবে তাঁর মনে হয় না সৌমেন্দু দল ছেড়ে চলে যাওয়াতে কিছু তফাৎ হবে। মদনের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা আগের থেকেও অনেক বেশি দায়বদ্ধ হচ্ছেন দলের প্রতি। তাই ভাবনার কোনো কারণ নেই। প্রসঙ্গত, সৌমেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে সৌগত রায় কার্যত এক ধরনের কথা বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, সৌমেন্দু একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, এতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন ক্ষতি হবে না।

 

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর কাঁথিতে জনসভা করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, কাঁথি কোনও পরিবারের একার সম্পত্তি নয়। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে অধিকারী পরিবারকে বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর পর্যন্ত বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে যে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতেও অনড় থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল তরফে।উল্লেখ্য, গতকাল কাঁথিতে সৌমেন্দু অধিকারী সহ ১৫ জন বিদায়ী কাউন্সিলর যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =