কলকাতা: জীবনদায়ী ওষুধ, অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি৷ ১০০টাকার দেশি বিকোচ্ছে দেড় হাজারে৷ মাঝে মাঝে মনে হয় আমি কোন দলে! ফেবসুক লাইভে ফের বিস্ফোরক মদন মিত্র৷ বিতর্ক তৈরি হতেই ভোলবদল তৃণমূল নেতার৷
বেলাগাম করোনা৷ অক্সিজেনের জন্য হাহাকার৷ জীবনদায়ী ওষুধেও কালোবাজারি৷ কার্যত লকডাউনেও মহর্ঘ মদ৷ ১৯ মিনিটের ফেসবুক লাইভে দলের বিরুদ্ধেই কার্যত বেসুরো মদন৷ বিতর্ক তৈরি হতেই রাতারাতি ভোলবদল মদনের! ড্যামেজ কন্ট্রোলে আজ তৃণমূল বিধায়কের মুখে সামাজিক অবক্ষয়ের প্রসঙ্গ৷ তাহলে কি সুর বদল মদন মিত্রের? কি বলতে চাইলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক?
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক মদন মিত্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে৷ বললেন, জীবনদায়ী ওষুধ, অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি চলছে৷ রোগীরা যথাযথ ভাবে পাচ্ছেন না ভেন্টিলেশন৷ কার্যত লকডাউন ঘোষণা হতেই বাংলার বিভিন্ন এলাকায় সুরাপ্রেমীদের দীর্ঘ লাইন নজর কেড়েছে৷ আর সেই দীর্ঘ লাইন চোখ এড়িয়ে যায়নি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রেরও। শনিবার ফেসবুক লাইভে সেই প্রসঙ্গ তোলেন তিনি৷ বলেন, ১০০টাকার দেশি বিকোচ্ছে দেড় হাজারে৷ অনেকে এখন বেদেশি ছেড়ে দেশি নিচ্ছেন৷ তাও তা দামী৷
করোনা আবহে দূরত্ববিধি লাটে তুলে সুরাপ্রেমীদের দীর্ঘ লাইন, তিনি একেবারেই যে মেনে নিতে পারছেন না, তারও ইঙ্গিত দেন মদন৷ আজ মদনের লাইন নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে পুলিশকে৷ কটাক্ষ করে বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয় আমি কোন দলে! বিধায়ক পদ পেয়ে কেনও সরকারি স্বাস্থ্য কাঠামো নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মদন মিত্র? তবে কি সত্যি দলের উপর অভিমান হয়েছে এই নেতার? আজ সংবাদমাধ্যমে মদন মিত্র জানিয়েছেন, তিনি দল বা সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি৷ তিনি সামাজিক অবক্ষয়ের কথা বলতে চেয়েছেন৷