কলকাতা: বিগত কিছুদিন ধরে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে রয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। মূলত তাঁর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানত বিজেপি তাঁর চরম বিরোধিতা করা শুরু করেছে, একই সঙ্গে অভিযোগ করা হচ্ছে সায়নীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিতর্কের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শাসক দল অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে একদিকে যেমন বাংলার নিরাপত্তার ভূয়শী প্রশংসা করলেন অভিনেত্রী, অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে ‘বাংলার ক্রাশ’ বলে অভিহিত করলেন। সায়নী ঘোষের এই মন্তব্যে এখন হইচই শুরু হয়েছে নতুন করে।
সম্প্রতি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে। যদিও সেটি অরাজনৈতিক মঞ্চ ছিল। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার সময় সায়নী বলেন, সম্মান দিয়েই তিনি বলছেন, মদন’দা বাংলার ক্রাশ। একই সঙ্গে তিনি অনেক বড় লিডার। সায়নীর বক্তব্য, এত সুন্দর আদান-প্রদান পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোথাও সম্ভব নয়। আর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই। দেশের অন্য জায়গার তুলনায় বাংলার মহিলারা অনেক বেশি নিরাপদ। অভিনেত্রীর কথায়, এই রাজ্যে যত রাত হোক না কেন নিরাপদে বাড়ি ফেরা যায়, কোন সমস্যা হয় না। এই একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মদন মিত্র জানান, বাংলার মানুষ সায়নী ঘোষের পাশে রয়েছে। তিনি তাঁর লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন।
কয়েকদিনের ব্যবধানে টলিউডের একাধিক জনপ্রিয় মুখ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সৌরভ দাস, দীপঙ্কর দে, ভরত কল, কৌশানি সহ প্রমুখ। তাহলে কি এবার সায়নী ঘোষ রাজ্যের শাসক দলে নাম লেখাতে চলেছেন, এই প্রশ্ন এখন অধিকাংশের মুখে মুখে। নিজেকে মূলত বামপন্থী বলা সায়নী এখন যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সংস্পর্শে থাকছেন এবং তাদের প্রশংসা করছেন, সেই প্রেক্ষিতে অনুমান করা মুশকিল নয় যে পরবর্তী কয়েক দিনে তিনি দলে যোগ পর্যন্ত দিতে পারেন। তবে সত্যি সত্যি তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কিনা সেটাই এখন দেখার।