কলকাতা: রক্ত দিয়ে গড়েছিলেন প্রতিষ্ঠান৷ সংবাদ মাধ্যমের দায় মাথায় নিয়ে ধার-দেনা করে গড়ে তুলেছিলেন সংবাদপত্র৷ নিজের পরিশ্রম, জ্ঞান ও খবর বিশ্লেষণের ক্ষুরধার উপস্থাপনায় বরুণ সেনগুপ্তের হাতে গড়ে ওঠা সংবাদপত্র ‘বর্তমান’ আজ জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে গিয়েছে৷ নিজে হাতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পর দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০০৮ সালে প্রয়াত হয়েছিলেন বরুণবাবু৷ তাঁর অবর্তমানে ‘বর্তমানে’র ধরেছিলেন বোন শুভা দত্ত৷ ‘বর্তমান’ পত্রিকার সম্পাদক পদের দায়িত্ব নেন শুভাদেবী৷ বর্তমান পত্রিকার হাল নিজের কাঁধে চাপিয়ে নেওয়ার ১০ বছর পর প্রয়াত হলেন ‘বর্তমান’ পত্রিকার সম্পাদক শুভা দত্ত৷
আজ সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ শহর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়৷ শুভা দত্তের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চিকিৎসক ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ টুইটে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শুভাদেবী৷ চলছিল চিকিৎসা৷ কিন্তু আজ হঠাৎ ‘বর্তমান’কে বিদায় জানিয়ে প্রয়াত হলেন শুভাদেবী৷
তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বর্তমান পত্রিকার সংবাদকর্মীরা৷ নিজের দক্ষতা ও স্নেহের কর্মীদের নিয়ে নতুনভাবে পথ চলা শুরু হয়েছিল বর্তমান পত্রিকার৷ সংবাদকর্মীদের একাংশ শুভাদেবীকে ‘মা’ বলেও কার্যত আখ্যা দিয়েছিলেন৷ বরুণ সেনগুপ্তের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বর্তমান পত্রিকাকে আরও বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শুভা দত্ত৷ কর্মীদের আপদে-বিপদে দাঁড়িয়েছিলেন৷ কিন্তু শুভাদেবীর হঠাৎ প্রয়াণে পত্রিকা গোষ্ঠীর কীভাবে চলবে তা নিয়ে এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সংবাদকর্মীদের একাংশ৷ পত্রিকার সংবাদ কর্মীদের একাংশ চাইছেন, অভিভাবকহীন ‘বর্তমানে’র নতুন করে হাল ধরুক শুভা দত্তের কন্যা রূপাঞ্জনা ও তাঁর জামাতা বিবেক৷ অথবা কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে নির্ধারিত হোক ভবিষ্যৎ! কেননা বরুণ বাবু প্রয়াত হওয়ার আগে কোনও উইল রেখে যাননি৷ পরে পত্রিকার চালানোর জন্য ২০১৮ সালে কাগজের হাল ধরেন শুভাদেবী৷ বরুণ বাবু বোন শুভাদেবীর হাত ধরে বর্তমান প্রতিষ্ঠার শ্রীবৃদ্ধি হলেও আপাতত বর্তমান ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট চিন্তা৷