হাবড়া: হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন চাকরির জন্য৷ জোটেনি চাকরি৷ তাই জীবনে ঘুরে দাঁডা়নোর জন্য হাবড়া স্টেশনে চা-দোকান খুলেছিলেন এম এ ইংলিশ পাশ করা টুকটুকি দাস৷ বুধবার এক লহমায় সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রেলওয়ে পুলিশ ফোর্সের বিরুদ্ধে৷ ঘটনায় রেল পুলিশোর বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগে সক্রিয় হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ প্লাটফর্মে শতাধিক দোকান থাকা সত্ত্বেও বেছে বেছে কেন টুকটুকির দোকান ভেঙে দেওয়া হল, তুলেছেন সেই প্রশ্নও৷
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হাবড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক নারায়ণ সাহা বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷’’ বুধবার রাতে তিনি ভাঙচুর হওয়া সেই দোকান ঘুরে দেখেন। নারায়ণবাবুর অভিযোগ, ‘‘রেলের এই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না৷’’ রেলের এহেন পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে অন্য হকারেরা৷ তাঁরা বলছেন, এমনটা না করলেই ভাল হত৷ যদিও এবিষয়ে আরপিএফের কোনও কর্তার প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ দোকান ভাঙাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূল ও আইএনটিটিইউসি তরফে বুধবার রাতে স্টেশন চত্বরে প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷
প্রসঙ্গত, হাবড়া স্টেশনের দু’নম্বর প্লাটফর্মে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ইংরেজিতে এমএ পাস করা তরুণী টুকটুকি দাস চা বিক্রি করছেন। মাস কয়েক আগে এই খবর সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। টুকটুকিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ হাবড়া পুরসভার তরফে স্টেশনে একটি দোকান তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷ সেজন্য হাবড়া স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সংযোগস্থলে টিনের চালা দেওয়া একটি অস্থায়ী ছোট দোকান তৈরি করা হয়। যদিও এখনও তা টুকটুকির কাছে হ্যান্ডওভার করে দেয়নি পুরসভা। এরই মাঝে বুধবার সকালে হঠাৎই আরপিএফ কর্মীরা এসে টুকটুকি দাসের নতুন দোকান ভাঙচুর করে। ফলে এক লহমায় ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে টুকটুকির স্বপ্ন৷ যদিও এবিষয়ে এখনও টুকটুকির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷