নতুন ইতিহাস লেখা হবে ব্রিটিশ জমানার পরিত্যক্ত সল্ট গোলায়

নতুন ইতিহাস লেখা হবে ব্রিটিশ জমানার পরিত্যক্ত সল্ট গোলায়

 

কলকাতা:  ব্রিটিশ জমানার সাক্ষ্য বহন করে হুগলী নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকা সল্ট গোলার বাণিজ্যিক উন্নয়নের জন্য আনলাইন দরপত্রের আবেদন জানাল রেল ল্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি (আরএলডিএ)৷ মার্কেটিং এবং ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্টের জন্য এই অনলাইন দরপত্র জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রেল মন্ত্রকের আওতাধীন আরএলডিএ৷ 

হাওড়া স্টেশন থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে শালকিয়ায় রয়েছে সল্ট গোলার ২০৬টি গুদাম৷ ১.৫ টন মাল ধারণের ক্ষমতা রয়েছে এই গুদামের৷ ১৮৩৫ সালে নির্মিত হয়েছিল সল্ট গোলা৷ দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতে  থাকতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গুদামগুলি৷ এই চৌহদ্দির মধ্যে রয়েছে ঔপনিবেশিক যুগের একটি প্রাসাদ৷ যা এক সময় সল্ট কমিশনারের অফিস এবং বাসস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হত৷ ১৯৮২ সালে লবন আইন প্রণয়ন করেন সল্ট কমিশনার৷ এই আইনের ভিত্তিতে ভারতীয়দের লবন আমদানি এবং রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ এর প্রতিবাদে ১৯৩০ সালে শুরু হয় মহত্মা গান্ধীর ডান্ডি অভিযান৷ ১৯২০-২২ সালের অসহযোগ আন্দোলনের পর লবণ সত্যাগ্রহই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠিত ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস “পূর্ণ স্বরাজ” প্রস্তাব গ্রহণ করার অব্যবহিত পরেই এই সত্যাগ্রহের সূচনা ঘটে।  

এই ঐতিহাসিক সম্পত্তির উপর গড়ে উঠতে পারে পর্যটন শিল্প৷ এখানে গড়ে তোলা যেতে পারে  ওয়াটার স্পোর্টস৷ নদীর তীরে চলতে পারে বাণিজ্যিক কার্যকলাপ৷ পর্যটন শিল্পের হাত ধরে এখানে তৈরি হবে কর্ম সংস্থান৷  ২০১৯-২০ সালে ১,৫৫৩ কোটি টাকার লিজ দেয় আরএলডিএ৷ এর থেকে ৮০০ কোটি টাকা লাভের আশা করা হচ্ছে৷ লিজের জন্য বিভিন্ন মেয়াদ ধার্য করা হয়েছে৷ ৩০ থেকে ৯৯ বছর পর্যন্ত লিজ দেওয়া হবে৷ সল্ট গোলার বিশালাকার গুদামগুলি মেরামত করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে৷  নতুন ইতিহাস লেখা হবে সল্টগোলায়৷ 

আরও পড়ুন- বাড়তি চাহিদা মেটাতে বেলেঘাটা আইডি-বাঙ্গুরে বসছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট

আরও পড়ুন- মুকুলের তৃণমূলে ফেরার গুঞ্জনে নতুন মাত্রা যোগালেন কুণাল

আরও পড়ুন- ১৯৪৭ দেশভাগ: বিভাজন রুখে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ ছিল অখণ্ডিত বাংলার সামনে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − two =