নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। গোটা বিশ্ব ধুঁকছে করোনা মোকাবিলায়। প্রায় সর্বত্রই জারি হয়েছে লকডাউন। দ্বিতীয় দফায় এই দেশেও বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়েও তড়তড়িয়ে বাড়ছে জ্বালানির চাহিদা। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিসংখ্যানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রথম দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জারি ছিল লকডাউন। পরে তা বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদসূত্রে প্রকাশ, এই পরিস্থিতিতে ভারত ছাড়াও এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতে লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) চাহিদা আকাশছোঁয়া। ভারতের অন্যতম তিনটি সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন জানিয়েছে, রান্নার গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে।
অন্যদিকে ডিজেলের চাহিদা কমেছে রেকর্ড হারে। ফ্যাক্টস গ্লোবাল এনার্জি (এফজিই) গ্রুপের তরফে জেসলিন চুয়া বলেন, 'লকডাউন জারি হোক আর যা-ই হোক, বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খেতেই হবে। তাছাড়া সরকারের তরফেও গরিবদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হছে।'
বুধবার এফজিই যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে দেখা গেছে, এলপিজি-র ক্ষেত্রে সর্বাধিক চাহিদা রেসিডেন্সিয়াল গ্রাহকদের থেকে। তাদের চাহিদা প্রায় ৯৭ শতাংশ। ভারতের অন্যতম তিন সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই টেন্ডার ইস্যু করেছে। এপ্রিল, মে ও জুন মাসের জন্য ৭,৩৭,০০০ টন এলপিজি কেনার টেন্ডার ইস্যু করা হয়েছে গত মাসেই। ১৩০ কোটি ভারতবাসী যখন ঘরবন্দি, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রায় সর্বত্রই যখন মন্দা, তখন জ্বালানির এমন চাহিদা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।