বাঁকুড়ার ও ঝাড়গ্রাম: করোনা আবহে এবার পঙ্গপাল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাংলায়৷ ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল জোড়াশাল গ্রাম ও বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরে পঙ্গপাল হানা দিয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের৷ এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিকদের৷
গুজরাটের দু’টি জেলা, মধ্যপ্রদেশের ১৬ জেলা, পাঞ্জাবের একটি জেলা, উত্তর প্রদেশের ১৭টি জেলা বিঘার বিঘা জমিতে ফসলে বড়সড় ক্ষতি করেছে পঙ্গপালের দল৷ এবার কি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে শুরু করেছে সেই পতঙ্গ? মঙ্গলবারে কিছু পতঙ্গ দেখে পঙ্গপালের আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলায়৷
সোমবার কৃষকদের চোখে পড়ে প্রথম৷ পঙ্গপালের সঙ্গে ওই পদঙ্গের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের৷ ভিন রাজ্যে হানা দেওয়া পঙ্গপালের দলের সঙ্গে দু’জেলায় ধরা দেওয়া পতঙ্গের মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা৷ পতঙ্গ চোখে পড়তেই আতঙ্গ ছড়িয়েছে দুই জেলায়৷ তাহলে কি এবার পশ্চিমবঙ্গে হানা দিল ফসলের দুশমন পঙ্গপাল? বাড়ছে আতঙ্ক৷
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন সাঁকরাইল বিডিও৷ পঙ্গপালগুলি খুব সম্ভবত ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় এসেছে বলে দাবি প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিকের৷ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিক চঞ্চল দত্ত জানিয়েছেন, যে পঙ্গপালগুলি বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজস্থান হয়ে বিহারে ঢুকেছে বলে শোনা যাচ্ছে, সেই পঙ্গপালের অংশটি এখানে এসেছে কি না, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না৷ তবে এটাও এক ধরনের পঙ্গপাল৷ খুব সম্ভবত স্থানীয় ভাবে উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে অথবা অন্য কোথা থেকে এরা উড়ে আসতে পারে৷ এরা দ্রুতহারে বংশ বিস্তার করছে৷ আর যাই হোক না কেন দুটি জাতির মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া চেষ্টা করা হলেও আদতে এই পতঙ্গগুলি পঙ্গপাল বলেই মনে করা হচ্ছে৷
পঙ্গপালের আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রাধানগর এলাকায়৷ সেখানেও পঙ্গপালের মতো দেখতে কিছু পতঙ্গ হানা দিয়েছে৷ এক নিমেষে কাঁচা শালপাতা খেয়ে নিচ্ছে পতঙ্গের ওই দল৷ পঙ্গপালের হানাই ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে৷ মাথায় হাত পড়েছে অসংখ্য কৃষকের৷ এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে নয়া এই পতঙ্গের উৎপাত৷