কলকাতা: জেল হেফাজতে থাকা বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ৷ রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা৷ জেল হেফাজতে থাকার সময় মারধরের ফলেই মৃত্যু হয় পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ওই বিজেপি কর্মীর৷ এদিকে, এই ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন- পুরোহিত ভাতায় দুর্নীতি? বাংলার সমস্ত মন্দিরের তালিকা তৈরির নির্দেশ নবান্নের
এদিন আরজিকর হাসপাতালে যাওয়ার আগে দেহ নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয় বিজেপি’র কর্মী সমর্থকদের মিছিল৷ কিন্তু বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ের ক্রসিংয়ে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ৷ বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা কালীঘাটের উদ্দেশে দেহ নিয়ে যাচ্ছেন৷ পুলিশ তাঁদের পথ আটকাতেই শুরু হয় বাদানুবাদ৷ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্ত হবে৷ কিন্তু মৃত মানুষটাকে আমরা জীবিত করতে পারব না৷ মুখ্যমন্ত্রী বলুক উনি কি চান৷ একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে৷ উনি খবর না নিতে চাইলে, আমরা গিয়ে ওনাকে খবর দেব৷ আমরা জানাব কী ভাবে ওঁনার পুলিশ লকআপে পিটিয়ে হত্যা করেছে৷ সেই জন্যই আমরা কালীঘাট যাচ্ছি৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনারা তো আছেন সকলকে রক্ষা করবার জন্য৷ আমরা বিচার চাইতেই কালীঘাটে যাচ্ছি৷ কী ঘটে চলেছে উনি তা দেখতে চাইছেন না৷ তাই আমরা তাঁকে দেখাতে চাইছি৷’’
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পরেও কিন্তু তাঁদের এগোনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ এর পরই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাস্তার মাঝেই ধর্নায় বসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা৷ লকেট বলেন, কেন একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে, তার জবাব দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ এই ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান তিনি৷ লকেট বলেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে বিশ্বাস করি না৷ ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক৷ অন্যদিকে, কালীঘাটের দিকে এগোনোর অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তায় বসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন লকেট৷ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধর্নার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে যায় সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ৷ তৈরি হয় তীব্র যানজট৷
আরও পড়ুন- BIG BREAKING: কীভাবে খরচ হবে পুজোর অনুদানের টাকা? রায় ঘোষণা হাইকোর্টের
এদিন বিচারপতি রাজ শেখর মন্থা জানান, এসএসকেএম হাসপাতালে নয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হবে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ৷ হাসপাতালে ময়না তদন্ত বিভাগের প্রধানকে দিয়েই ময়না তদন্ত করতে হবে৷ পাশাপাশি ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি রেকর্ডিং করতে হবে এবং আগামী ২১ অক্টোবর আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷