হুগলী: সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয় তখন বিবেকানন্দ রোড ধরে পিপুলপাতির দিকে যাওয়ার পথে ৩নম্বর গেটের রাস্তায় ঢুকেছে। গন্তব্য ৩নম্বর গেটে বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা অফিস। কিন্তু অফিসের বাইরের গেটে তখন তালা ঝুলছে। তড়িঘড়ি বিজেপি কর্মীরা ছুটে এলেও চাবি কার কাছে জানা নেই। অগত্যা তালা ভাঙাতেই উদ্যত হলেন জনা কয়েক বিজেপি কর্মী।
কিন্তু ততক্ষণে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা যুক্ত কনভয় সামনে থেকে গাড়ি ঘোরাতে শুরু করেছে। সরু রাস্তায় কোনক্রমে গাড়ি ঘুরিয়ে কোনরকমে পরের গন্তব্য চুঁচুড়ার জোড়াঘাটের দিকে রওনা দিল কনভয়। ফলে আর জেলা অফিস দেখা হল না কেন্দ্রীয় সভাপতির। বিষয়টি ততক্ষনে বুঝতে পেরেছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। যারা হঠাৎ ভিভিআইপির আগমনে অনেকটাই ঘাবরে গিয়েছিলেন। গেটের সামনে অবশ্য লোহার কুচি বর্তমান। যা দেখে এটা স্পষ্ট যে গেটের গায়ে কিছুর ঘা অন্তত পরেছে।
যদিও দলীয় কার্যালয়ের রাস্তায় কনভয় ঢোকার কথাই অস্বীকার করেছেন বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেশ সাউ। তিনি বলেন সর্বভারতীয় সভাপতি এসেছেন বলে কথা। তাই কার্যালয়ের কেয়ারটেকারও হয়তো তাঁকে দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু দলীয় কার্যালয়ের দিকে কোন কনভয় ঢোকেনি। যদিও কেয়ারটেকার উজ্জ্বল ভৌমিকের বক্তব্য আমি অফিসেই ছিলাম। আমি নাড্ডাজিকে দেখতে যাইনি।
অন্যদিকে, চুঁচুড়ার তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্ত(বটা) বলেন ওই অফিসের উল্টোদিকটাই আমার ওয়ার্ড। আমাকে স্থানীয়রা জানালো যে আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এসে ফিরে গেছেন। দলীয় কার্যালয় খোলার নাকি লোকই ছিল না। এরপরই ইন্দ্রজিৎবাবুর কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সকলে সামিল হয়েছেন। তাই বিজেপির তালা খোলার লোক নেই। নাড্ডাবাবুরা আগামীদিনেও এসে এভাবে ঘুরে যাবেন।