কলকাতা: ৭ মাস অতিক্রান্ত৷ বন্ধ সাধারণ যাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা৷ দীর্ঘ দিন ধরে লোকাল বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷ প্রভাব পড়েঠে জীবিকায়৷ জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়িয়েছে যাত্রী-বিক্ষোভ৷ আর পরিস্থিতর মধ্যে লোকাল ট্রেন চালাতে রেলকে চিঠি পাঠিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পাঠাল রাজ্য সরকার৷ বাংলায় লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে রেলের তরফে রাজ্যকে জোড়া চিঠি পাঠানো হলেও এতদিন মেলেনি কোনও জবাব, হয়নি আলোচনা৷ অবশেষে বাংলায় লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে রেলকে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷
বাংলায় লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়ে আলোচনার জন্য শনিবার রাতে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মাকে চিঠি পাঠানো হয় অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীর তরফে৷ বিভিন্ন রুটে কীভাবে লোকাল ট্রেন চালানো যায়, তা নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷ নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার বিকালে ৫টা নাগাদ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ পরিষেবা চালু হলে যাত্রীদের মধ্যে কীভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব? স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে মেনে পরিষেবা দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, রেলের তরফে দু’বার প্রস্তাব দেওয়ার পরও কেন এতদিন লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিল না রাজ্য? বর্ধিত আনলক ৫ পর্ব শুরু হলেও আগে কেন এই নিয়ে রেলের সঙ্গে আলোচনা হল না? যদিও, তৃণমূল সাংসাদ সৌগত রায়ের দাবি, লোকাল ট্রেন চললে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে৷ কিন্তু, আনলক পর্বে তো স্কুল-কলেজ ও লোকাল ট্রেন ছাড়া সব কিছুই চালু হয়ে গিয়েছে৷ বাসে-বাসে বাড়ছে ভিড়৷ চালু হয়ে গিয়েছে অটো, টোটো৷ শুধু লোকাল ট্রেনে কেন এত আপত্তি রাজ্যের? প্রশ্ন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের৷
লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে ইতিমধ্যেই যাত্রীবিক্ষোভ ছড়িয়েছে জেলায় জেলায়৷ পুজোর আগে যাত্রী বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল সোনারপুর৷ সেই বিক্ষোভ পরে শহরতলীতেও ছড়িয়ে পড়ে৷ শনিবার হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে৷ আরপিএফের হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীরা৷ জেলায় জেলায় যাত্রী বিক্ষোভের পর রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনার প্রস্তাব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷