কলকাতা: বিষমদকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশার আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে ১৭২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একটি উস্তি থানায় যার প্রেক্ষিতে, ২০১৮ সালে খোঁড়া বাদশাসহ ৮ অভিযুক্তকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার মহকুম আদালত। দ্বিতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছিল মগড়াহাট থানায়। যে মামলাটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আলিপুর জেলা আদালতে শুনানি চলছিল। মামলার শুনানি শেষে আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছিল। শনিবার আলিপুর জেলা আদালতে বিচারক খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং বাকি ৭ অভিযুক্তকে বেকাসুর খালাস দেয়। আজ খোঁড়া বাদশাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৩, ৩০২, ৩২৬ এবং ৩২৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে খোঁড়া বাদশা। এর আগে শনিবার দোষী সাব্যস্ত হলেও আজ সাজা ঘোষণা করল আদালত। এদিন আদালতে খোঁড়া বাদশাকে শেষবারের মতো কিছু বলতে বলা হয় এবং তখন সে আদালতকে বলে যে সে আর এই ব্যবসা কোনদিন করবে না। বাড়িতে তার চারটি সন্তান রয়েছে এবং সে নিজে হ্যান্ডিক্যাপ্ট, এই ইস্যু দেখিয়ে নিজের সাজা মুকুবের কার্যত চেষ্টা করে সে। যদিও আদালত এই বক্তব্যের সঙ্গে একেবারেই সম্ভব হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিন আদালতে খোঁড়া বাদশার ফাঁসির সাজা চেয়েও অনুরোধ করা হয়। যদিও আদালত সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বাদশাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডই দিয়েছে।