আজ বিকেল: সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ ফুরোতেই বেশ বিপাকে রাজীব কুমার। ইতিমধ্যেই তাঁর যাবতীয় আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। রবিবারই লুক আউট নোটিস জারি করে রাজীব কুমরাকে গ্রেপ্তারির তোরজোর শুরু করেছে সিবিআই। গতকালই সিবিআইএর একটি টিম রাজীব কুমারের খোঁজখবর নিতে পার্কস্ট্রিটে ডিসি সাউথের অফিসে যায়। আজ কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যখন রাজীব কুমারকে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে হাতের মুঠোয় নিতে চাইছে, ঠিক তখনই নবান্ন থেকে রাজীবকে সিআইডি-র প্রধান পদে ফেরানোর দাবি জানিয়ে চিঠি গেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তরে। বলা বাহুল্য, চিঠি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটের মধ্যেই রাজীব কুমারকে দিল্লিতে নিয়ে যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ক্যাডার কন্ট্রোল অথরিটির হাতেই রয়েছেন রাজীব কুমার। সেখানেই তাঁকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজীব কুমারের জড়িয়ে থাকার প্রমাণ পেয়ে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় নজরবন্দি হয়ে গিয়েছেন এই পুলিশ কর্তা। শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে তাঁকে পাঁচ দিন জেরাও করা হয়েছে। ভোটের মধ্যেই তাঁকে এডিজি পদ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে দিল্লি নিয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের কল্যাণে রাজীব কুমার এতদিন গ্রেপ্তার হননি। গত ২৪ মে সেই রক্ষাকবচ ফুরিয়েছে, তারপর থেকেই বেশ বিপাকে রাজীব কুমার। কেননা প্রথমে সুপ্রিম কোর্ট ও পরে বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেও লাভ হয়নি। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন কারিজ হওয়ার পরেই সিবিআই কাজকর্ম শুরু করেছে। যেকোনও মুহূর্তে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজীব কুমারকে এডিজি পদে ফেরানোর দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে। এবার য়ে রাজীব কুমারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত তৈরি হবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত বেশ কয়েকজন রাঘববোয়ালকে আড়ালের চেষ্টা হয়্ছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের দিকে। অভিযোগ, ওই রাঘববোয়ালদের আড়াল করছেন রাজীব কুমার। নবান্নর চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পৌঁছাতে স্থানীয় বিজেপি নেতার মন্তব্য, এই রাঘববোয়ালরা ঠিক কারা, এবার তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।