হাওড়া: আগের চাইতে সদস্য সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এটা বড় ফ্যাক্টর। রাজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি দিনে এমন প্রসঙ্গ উঠে এল কৃষকসভার মঞ্চে। “আগে যে সদস্য সংখ্যা এক কোটি পার করেছিল, বা কখনও ৮০ লক্ষ থেকে ৭৫ লক্ষে পর্যন্ত পৌঁছেছিল, বর্তমানে সেই সদস্য সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এটা অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর।” তিনদিনব্যাপী ৩৭তম রাজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি দিনে রবিবার এমন প্রসঙ্গও উঠে এলো পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার মঞ্চে।
পরে এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সর্বসম্মতিক্রমে নব নির্বাচিত সম্পাদক অমল হালদার জানান, আগে কৃষক ক্ষেত মজদুর সংগঠন একসঙ্গে যুক্ত ছিল। ফলে সেই সময় সদস্য সংখ্যা এক কোটি পার করেছিল। ৮০-৭৫ লক্ষও ছিল। তিন বছর আগে ক্ষেত মজদুর সংগঠন বিভক্ত হয়ে যায়। তারপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার সদস্য সংখ্যা হ্রাস পায়। এটা একটা বড় ফ্যাক্টর।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভার তিনদিনের ৩৭তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল হাওড়ার শরৎ সদনে। ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর, এই তিনদিনের রাজ্য সম্মেলনের শেষে রবিবার দুপুরে ২৩ সদস্যের নতুন সম্পাদকমন্ডলী ঘোষণা করা হয়। নতুন সম্পাদকমন্ডলীতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিপ্লব মজুমদার। এছাড়াও সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অমল হালদার। এছাড়াও সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ভক্তরাম পান, মেঘলাল সেখ, মহঃ সেলিম, আশিস সরকার, আবু বক্কার।
এছাড়াও সম্পাদকমণ্ডলীতে সহ-সম্পাদক রয়েছেন ৫ জন। কোষাধ্যক্ষ ও কৃষক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ছাড়াও ৯ জনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রয়েছেন ২৩ জনের সম্পাদকমণ্ডলীতে। রবিবার দুপুরে রাজ্য সম্মেলন শেষে সম্পাদক অমল হালদার, সভাপতি বিপ্লব মজুমদাররা এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানেই সদস্য কমে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নেন তাঁরা৷