কলকাতা: জট কাটার পথে সংযুক্ত মোর্চার বৈঠক৷ বৈঠকের শেষে হাসি মুখেই প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য৷ উত্তরবঙ্গের দু’টি আসন নিয়ে বৈঠক চলছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে৷ আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফকে মহাজোট ৩৭টি আসন দিয়েছে বলে খবর৷ কংগ্রেস ৯২টি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে৷
বাম এবং কংগ্রেস জোটের আসন রফা চূড়ান্ত হয়েছে বলে সোমবার বিধানভবন থেকে ঘোষণা করেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ কিন্তু, জোটে অংশ নিতে চাওয়া আব্বাসের আসন রফা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ সব দিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ বলে জানিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী৷ পরে আজ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আসন রফা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু আসন নিয়ে মূলত কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসের দলের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়৷ ব্রিগেডের মঞ্চেও ধরা দিয়েছিল মতানৈক্যের ছবি৷ গোটা বিষয়টি যে সংযুক্ত মোর্চার জন্য খুব ভালো বিজ্ঞাপন ছিল না, তা বেমালুন বুঝেছিলেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও বিধানভবনের নেতার৷ সোমবারের বৈঠকের পর আজ মঙ্গবার ফের শুরু হয় বৈঠক৷ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসের দলের আসন সমঝোতা হয়েছে বলে খবর৷ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্যরা জানিয়েছেন, এখন আর কোনও জট নেই৷ সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গে আসন সমঝোতা হলেও উত্তরবঙ্গ নিয়ে চলছে দর কষাকষি৷ সেটাও দ্রুত মিটে যাবে বলে দাবি জোট নেতৃত্বের৷
সূত্রের খবর, ১১০টি আসনের কমে আসন ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস শিবির৷ বামেদের তরফে আব্বাসের দল আইএসএফকে ৩০টি আসন ছেড়েছে৷ কিন্তু, কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের সমস্যা তৈরি হয় ১৫টি আসনকে কেন্দ্র করে৷ মালদহ থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলা নিয়ে শুরু হয়েছিল দর কষাকষি৷ ওই জেলাগুলি থেকে কংগ্রেস আব্বাসকে একটি আসন ছাড়তে নারাজ৷ সূত্রের খবর, সেই উত্তরবঙ্গের জট এখন না কাটলেও দক্ষিণবঙ্গের সমঝোতা হয়েছে৷
সোমবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সোমবার জানিয়েছিলেন, গ্রাউন্ড জিরো বিষয় নিয়ে ভাবার জায়গা রয়েছে। কারণ বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস ছাড়াও এখন জোটে রয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তাদের সঙ্গেও কিছুটা আলোচনা বাকি রয়ে গেছে সেগুলি সারা হলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। যদিও বামেদের প্রার্থী তালিকা কবে প্রকাশিত হবে বা বাম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা একসঙ্গে প্রকাশিত হবে কিনা সে ব্যাপারে কিছুই জানালেন না তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, এইবার তারা যে ফর্মুলা গ্রহণ করেছেন তা হল, গতবার যারা জিতেছিল সেই আসন সংখ্যা এবং যারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল সেই আসন সংখ্যা, এই দুটি আসন সংখ্যা মিলিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷