কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার পাশাপাশি আন্দোলনও সংগঠিত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যের দিকে দিকে আন্দোলন তীব্র করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে, আপার প্রাইমারি’র চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশ দিয়ে তুলে দিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করল রাজ্য সরকার। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, চাকরিপ্রার্থীদের একদিকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পুলিশ গিয়ে তাদের আন্দোলন ভেঙেছে। তাদের শিয়ালদহ স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন করার অধিকার নেই। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, শিক্ষা দফতরের নজরে বিষয়টি রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের মিছিল বের হয়।
বুধবার রাতে সল্টলেক থেকে গভীর রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পুলিশ বাসে করে তুলে নিয়ে গিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার। বাহারে চাকরি প্রার্থী। আহারে আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রীর মত ছন্দ মিলিয়ে বললাম।’’ তন্ময়ের আরও বক্তব্য, ‘‘এই ছেলেমেয়েগুলি ২০১৪ সালে পরীক্ষায় ফরম ভরেছিল। ২০১৫ সালে তাদের পরীক্ষা হয়। ২০১৬ সালে ওই পরীক্ষার ফল বের হয়। চার বছর ধরে তারা বসে আছে। ওদের ভুল যে, এই সরকারের দেওয়া বিজ্ঞাপনকে তারা বিশ্বাস করেছে। ওদের বাসে করে শিয়ালদহ স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওদের বরং দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনেই ছেড়ে আসতে পারত পুলিশ। এই সরকার চরম অপদার্থ, দয়া-মায়াহীন।’’
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায় বলেন, আশা করি এই শিক্ষকদের বিষয়টি শিক্ষা দফতরের গোচরে আছে। শিক্ষামন্ত্রী নিশ্চয়ই সহানুভূতির সঙ্গে দেখছেন।
বিজেপির অন্যতম জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বিষয়টি নিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার লিখেছেন। অনুপম নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন। তার বক্তব্য, ‘‘আন্দোলন স্থলে (Salt Lake) পৌঁছাবার আগেই “আন্দোলন শেষ” করলো তৃণমূলের “পোষ্য” পুলিশ !!! গতকাল মধ্যরাতে, তৃণমূল সরকার পুলিশ দিয়ে, সল্টলেক SSC দপ্তরের সামনে থেকে, আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ করে, বলপূর্বক উচ্ছেদ করলো আন্দোলনরত সমস্ত শিক্ষকদের !!! লজ্জা…ধিক্কার !!! অথচ, 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে, ‘নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া মানুষদের জন্য আন্দোলন’ কে পুঁজি করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী !!! বৈধ অধিকারের দাবিতে, শিক্ষকদের যে কোনো আন্দোলনে পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো !!!”