রামপুরহাট: বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে সোমবার। সিবিআই হেফাজতেই রহস্যমৃত্যু হয় তাঁর। তবে লালনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং পরিবার। দাবি করা হয়েছে, সিবিআই হেফাজতে নিয়ে তাঁকে প্রচণ্ড মারধোর করে। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভিড় জমাতে শুরু করেছে লালনের আত্মীয়, পরিজনরা।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে কলকাতার ভূমিপুত্র! শপথ নিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত,
লালনের বিরুদ্ধে বগটুই গ্রামে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। চলতি মাসেই ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে, লালনকে ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক৷ পরে আরও ৩ দনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সোমবার জানা গিয়েছে, রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের দাবি, লালনকে সিবিআই এত মেরেছিল যে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারত না। ওকে জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। সব অভিযোগের আঙুল সিবিআইয়ের দিকেই তুলেছে তারা।
২১ মার্চ বগটুই গ্রামে যাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ ধৃত লালনের ফাঁসির দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘সে দিন লালনের নেতৃত্বে দলবল এসেছিল গ্রামে। আমরা ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এটা মানুষেরও দাবি৷’’ সিবিআই হেফাজতে সেই লালনের ‘রহস্যমৃত্যু’ নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল৷ অন্যদিকে সিবিআইয়ের এক সূত্রের দাবি অনুযায়ী, অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগারে লালনের ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল।