কলকাতা: বামেদের নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন সিপিআইএম কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা কিন্তু শহরের রাজপথে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয় লাল ঝাণ্ডার মিছিল। পুলিশের লাঠি জল কামান আর কাঁদানে গ্যাসের প্রয়োগে আহত হয়ে সম্প্রতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন বাঁকুড়ার যুব নেতা। এই মৃত্যু নিয়েই এখন কার্যত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একাধিক জায়গায় ক্ষোভের ইঙ্গিত পেয়ে তাই আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বামপন্থী দলগুলি থানায় থানায় বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর, বামেদের ঠেকাতে এবার অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে লালবাজারে। প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে মহাকরণের সামনে খুলতে চলেছে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম। শহরের তাবড় পুলিশ অফিসারদের এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রাখা হবে বলেও জানা গেছে পুলিশ সূত্রের খবরে।
মঙ্গলবার শহর জুড়ে বামেদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নতুন করে কলকাতার আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করেছে পুলিশ। সে কারণেই গোটা দিনের জন্য এই অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর সপ্তম ব্যাটালিয়নের একজন কমান্ডিং অফিসার তথা ডিসিকে রাখা হবে এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে। তাঁর অধীনে থাকবেন সশস্ত্র বাহিনী, রিজার্ভ ফোর্স এবং স্পেশাল ফোর্স থেকে এসিপি পদমর্যাদার বাছাই করা ৬ জন অফিসার। এছাড়াও ওই কন্ট্রোল রুমে থাকবেন ৮ জন ইন্সপেক্টর এবং ১৫ জন সাব-ইন্সপেক্টর সহ ১০০ কনস্টেবল।
বস্তুত, পুলিশি বর্বরতায় বাম কর্মীর মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। সোমবারও ঘেরাও করা হয় শহরের একাধিক থানা। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে চলে বিক্ষোভ। এমনকি মৌলালিতে পুলিশকে তাড়া করে তাঁর উর্দি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে উত্তেজিত বাম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তারপর আজ সরস্বতী পুজোর দিন শহরের পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত না হতে পারে, তার জন্যেই নেওয়া হচ্ছে আগাম পদক্ষেপ।