পামেলা ষড়যন্ত্রে হাত রয়েছে পুলিশেরও? অমৃত সন্ধানে মরিয়া লালবাজার!

প্রথম থেকেই নিউ আলিপুর থানার পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন পামেলা গোস্বামী

কলকাতা: বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে জারি তরজা। নিষিদ্ধ মাদকসহ ব্যস্ত শহরের মাঝে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি। কিন্তু গ্রেফতারির পর প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন পামেলা। এমনকি নিজের দলেরই অন্যতম নেতা রাকেশ সিংয়ের দিকে তুলেছিলেন অভিযোগের আঙুল। পামেলা গোস্বামীর এই মাদক পাচার কাণ্ডের তদন্তে এবার এল আরও এক নয়া মোড়।

পামেলা গোস্বামীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এবার লালবাজারের তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়েছে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ কর্মীদের উপর, খবর সূত্রের৷ বস্তুত, এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি শিবির৷ বিশেষত প্রথম থেকেই পামেলা গোস্বামী দাবি করে আসছিলেন, নিউ আলিপুরের পুলিশও তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। এই অভিযোগ কি নিতান্তই অমূলক? নাকি সত্যিই রক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভক্ষক? খতিয়ে দেখতে আসরে নেমেছে লালবাজার৷

লালবাজার সূত্রের খবর, পামেলা গোস্বামীকে গ্রেফতারের মুহূর্তে নিউ আলিপুর থানার যে সমস্ত পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন তাঁদের তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠানো হতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, যে গাড়িতে ঘটনার দিন পামেলা ছিলেন সেটি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। আচমকাই তাকে এসে ঘিরে ফেলে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। তৎক্ষণাৎ তিনজনকে গ্রেফতার করেন তাঁরা, কিন্তু একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এই পলাতক ব্যক্তির নাম অমৃত সিং, যিনি এখনও পর্যন্ত অধরা। তাঁর বিরুদ্ধেই গাড়িতে মাদক রাখার মূল অভিযোগ এনেছেন পামেলা গোস্বামী। এমতাবস্থায়, কোন সূত্র থেকে মাদকসহ গাড়িটির খোঁজ পেয়েছিল নিউ আলিপুর থানার পুলিশ, তা জানতে চায় লালবাজার।

উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গেছে, অমৃত সিং নামের ওই ব্যক্তি পুলিশ আসার আগেই গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। স্বভাবতই এতে পামেলার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগটি জোরদার হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং ও তার দুই সহযোগী। রাকেশের ঘনিষ্ঠ বিহারের অমৃত সিংয়ের নাগাল পেতে এখন মরিয়া লালবাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *