কলকাতা: কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনো পলাতক। চেষ্টা করেও এখনো তাকে খুঁজে পাইনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে রেড করার নোটিশ। এই পরিস্থিতিতে এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে নতুন মোড়। সিআইডি গ্রেফতার করেছে লালা ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। ধৃত ব্যবসায়ীর নাম রণধীর সিং।
কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং সিআইডি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মামলায় তৎপরতা তুঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থা গুলির। এদিকে আবার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও গিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে। এরপর লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর গ্রেফতারি অবশ্যই এই মামলায় অন্য মাত্রা যোগ করল। একদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যদিকে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা, দুই এজেন্সির আধিকারিকদের তৎপরতায় এই মামলা নিয়ে উত্তেজনা আরো বাড়ছে।
আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে তৎপর CID! আসানসোলে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ইতিমধ্যেই, কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আসানসোলের অন্তত ১০ জন ব্যক্তিকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির আধিকারিকরা। জানা গেছে, উক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা। এলাকার কয়লা পাচার চক্র সম্পর্কে রীতিমতো ওয়াকিবহাল ছিলেন তাঁরা। ফলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বড়সড় তথ্য আদায় করে চক্রের কেন্দ্রে পৌঁছোতে চাইছেন গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রের খবর, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ছাড়াও বারবনি, পাণ্ডবেশ্বর আন্দাল প্রভৃতি এলাকায় কয়লা পাচার চক্র নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। কে বা কারা কয়লা তোলার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন? মেশিন এনে খনির কয়লা তুলে কোথায় পাঠানো হত? কাদের কাছেই বা কয়লা হাতবদল হয়ে যেত? মূলত এই সমস্ত প্রশ্নই স্থানীয়দের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই খনির কয়লা তোলা থেকে শুরু করে হাতবদল এবং পাচার পর্যন্ত সমস্ত খবরাখবর রাখতেন। ফলে কয়লা কাণ্ডে তদন্ত বড়সড় সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।