চোপড়া: লক্ষ্মীর ভান্ডারকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে চলছে বিশৃঙ্খলা৷ তারই জেরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলিতে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য পৃথক ক্যাম্প করার দাবি তুললেন বাসিন্দারা৷
সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য আলাদাভাবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের দাবি তুললেন দাস পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির এলাকার জনগণ। চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি মধ্যে যেসব গ্রাম গুলি রয়েছে সেটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলিতে অবস্থিত রয়েছে। দাসপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকা নন্দীগছ একটি ক্যাম্প হওয়ার কথা রয়েছে। ১২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি দাসপাড়াতে দুটি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হবে। কিন্তু ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় কোনো ক্যাম্পের ব্যবস্থা না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
রাজ্য সরকারের ঘোষিত দুয়ারের সরকারের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে। দাসপাড়া ও নন্দীগছে ক্যাম্প হওয়াতে প্রায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে আসতে হবে ওই সব গ্রামের মহিলাদের। ফলেই চরম সমস্যা পড়েছথেন গ্রামের বাসিন্দারা। ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় দুয়ারে সরকারের আলাদা ক্যাম্পের জন্য ইসলামপুর মহকুমা শাসক সপ্তর্ষি নাগকে ওই এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য লিখিত আবেদন জানান এলাকার বাসিন্দারা।
তাঁদের দাবি, বিগত দিনে তাদের গ্রামে দূরবর্তী এলাকায় দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ভারত বাংলা সীমান্তবর্তী এলাকা না হওয়াতে অনেকেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। দুয়ারে সরকারে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পাননি এলাকার মানুষ। তাই এবার দাবি উঠেছে তাদের নিকটবর্তী এলাকার কর্মসূচি করা হোক। যাতে রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলির সুবিধা নিতে পারেন তাঁরা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দুলাল মণ্ডলল জানান, এবিষয়ে আমরা চোপড়া ব্লক মহকুমা প্রশাসনকে দাবি জানিয়েছি৷ আশা করি, তাঁরা আমাদের দাবি পূরণ করবেন৷