জলপাইগুড়ি: ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ সফরে শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরছেন দক্ষিণে৷ রাজ্যে একাধিক দলীয় নেতার পদত্যাগের ফলে বেশ কিছু দিন ধরেই নড়বড়ে দেখাচ্ছে শাসকদলের ভিত। আর তার জেরেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর মাঝেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি।
বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান জলপাইগুড়ির স্থলবন্দর এলাকায়৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতেই এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের দাবি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাঁধা দেয়। আর তাতেই বাধে বচসা। শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের এই বিক্ষোভে আজ রীতিমতো উত্তপ্ত হয় জলপাইগুড়ি এলাকা।
জানা গেছে, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে লাঠিচার্জের অভিযোগও। বিক্ষোভকারী এক ব্যক্তির কথায় অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীদের তরফ থেকেই আগে আক্রমণ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বাইরে বসে ছিলাম, হঠাৎই ভিতর থেকে ঢিল ছোঁড়াছুড়ি হতে থাকে।” শুধু তাই নয়, আট থেকে দশ রাউন্ড গোলাগুলি চালানোর অভিযোগও করেছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ আদতে শ্রমিকদের ফাঁসানোর জন্যেই অশান্তির সৃষ্টি করেছেন বলেও উঠেছে অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ উল্টো কথা শোনা গেছে বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখে। বিক্ষোভকারীরা বন্দরের কাজে বাধা সৃষ্টি করছিলেন বলেই অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, “আমরা বলেছিলাম আপনারা যা বিক্ষোভ দেখানোর রাস্তায় দেখান, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলুন।” সংস্থার সমস্ত শ্রমিকই স্থানীয় বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে, অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকালেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের এহেন বচসা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।