কলকাতা: লকডাউন পর্বে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। আবার চাকরি না খোয়ালেও কাজ না করায় তাদের বেতন দেয়নি মালিক পক্ষ। এই নিয়ে বিতর্ক অসন্তোষ চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এ রাজ্যেও এই নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে শ্রম দফতরে। এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিভিন্ন বেসরকারি অফিস, কারখানার মালিকদের কড়া নির্দেশিকা পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয় লকডাউন পিরিয়ডে কর্মীদের প্রাপ্য বেতন মিটিয়ে দিতে। কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধে মালিক পক্ষ ফের একটি মামলা করে। এই মামলার প্রভাবেই ১৭ জুন সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়, লকডাউন পর্বের বেতন না দিলেও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
তবে শ্রমিক ও মালিক দুই পক্ষকেই বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য শ্রম দফতরগুলিকে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশের আগে থেকেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী ছিল শ্রম দফতর। এবার নির্দেশিকা বেরনোর পর আরও তৎপর হল তারা। শ্রম দফতরের হিসেব অনুযায়ী, অনলাইন এবং অফলাইন মিলিয়ে বেতন না পাওয়া সংক্রান্ত ৫০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে কিছু সমস্যার সমাধান আগেই করা হয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
শ্রম দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা জারির পরে অনলাইনে অন্তত ৩০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়া জোন ভিত্তিক এবং জেলা অফিসগুলিতে অফলাইনেও প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। কলকাতার নিজাম প্যালেস কার্যালয়ে জমা পড়া অভিযোগ পত্রগুলির মধ্যে বেশিরভাগই শ্রম দফতরের আওতায় পড়ে। তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যে সব অভিযোগ এক্তিয়ার ভুক্ত নয় সেগুলির প্রায় ৯০ শতাংশের সমাধান আগেই করা হয়েছে বলেই জানা গেছে।