নন্দীগ্রাম: বাংলাদেশের ঘটনায় রাজ্য সরকারের নীরব থাকা নিয়ে বারে বারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্মের রাজনীতির অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এবার শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তারই বিরুদ্ধে মানুষে মানুষে ধর্মের বিভাজন তৈরির চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপিকে খুশি করতে এবং নিজের রাজনীতির ক্যারিয়ার সচ্ছল করতে সমাজে ধর্মের বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে শুভেন্দু৷’’
এরপরই কুণালের নেতৃত্বে মঞ্চ থেকে স্লোগান ওঠে, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী হঠাও, নন্দীগ্রাম বাঁচাও৷’’ একই সঙ্গে নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কুণাল বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী শহীদদের রক্ত নিয়ে নিজের পরিচয়ের প্রকাশ দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বের করে দেওয়া উচিত৷ কারণ, নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই!”
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল নন্দীগ্রামে৷ ফের নভেম্বরে আরও একদফা গণহত্যা হয়৷ তারই জেরে ফি-বছরই ১৪মার্চের পাশাপাশি ১০ নভেম্বরও নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে৷ বুধবার নন্দীগ্রামে গোকুলনগর করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ডাকে শহীদ স্মরণে অনুষ্ঠানে ডাক দেওয়া হয়।
সেখানেই কুণাল বলেন, ‘‘আমরা হিন্দু বাড়ির ছেলে, হিন্দুত্বের এজেন্সি বিজেপি বা শুভেন্দুকে দেওয়া হয়নি। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী মুসলিমদের কুৎসিত আক্রমণ করছে। জিহাদি থেকে শুরু করে অন্যান্য ভাষায় আক্রমণ করছে। শহীদের রক্ত হিন্দু-মুসলমান সবার। শহীদদের মধ্যে হিন্দু রয়েছে, মুসলমান রয়েছেও। কিন্তু ধর্মের বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে শুভেন্দু৷’’ শহিদ মঞ্চে কুণাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, রাজ্য নেতৃত্ব জয়া দত্ত, দোলা সেন, শেখ সুফিয়ান সহ তৃণমূল একঝাঁক নেতৃত্বরা। এদিন মঞ্চ থেকে একের পর এক নেতৃত্বরা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।