কলকাতা ও আগরতলা: ক্রমেই তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক জমি৷ মঙ্গলবার রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ বুধবার এবিষয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন,‘ধৃতদের সেকশন জানতে চেয়েছি, এসকর্ট দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছি৷ আইনজীবী আসা পর্যন্ত সময় চেয়েছি৷ বিজেপি থানা ঘিরে ছিল৷’’ এরপরই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কোর্টে সেদিন পুলিশ কোনও অভিযোগ করেনি কেন?’’
এরপরই ২০২৩ এর ত্রিপুরার ভবিষ্যতবাণী ঘোষণা করে দিয়ে কুণাল লিখেছেন, ‘‘এক ধাক্কায় বেসামাল বিজেপি৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে দিল্লির তলব৷ ওদিকে সুদীপ বর্মণ গোষ্ঠী বলছে তিনি নাকি বড় ক্ষমতায় আসছেন৷ জিতবেন কে? ঘর সামলাক বিজেপি৷ তাসের ঘরের মতো ভাঙবে৷ সন্ত্রাস আর মিথ্যে মামলা দিয়ে এবাক তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না৷’’
ঘটনার সূত্রপাত, গত শনিবার ত্রিপুরায় বিজেপির হাতে আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার রাত থেকেই ত্রিপুরার খোয়াই থানায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করছিলেন তাঁরা৷ অভিযোগ, আক্রান্তকারীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে রবিবার সকালে তাঁদেরকেই আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ঘটনার প্রতিবাদে ত্রিপুরা থানায় আইসির চেম্বারে অবস্থানে বসেন অভিষেক৷
পুলিশের তরফে এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, থানায় অবস্থানের নামে পুলিশের কাজে বাধা দান, পুলিশের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করা হয়েছে৷ যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, সেদিন থানার বাইরে অভিষেককে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, যাঁদের হাতে ছাত্র নেতারা প্রহৃত হলেন তাঁদের কাউকেই তো গ্রেফতার করা হল না, কোনও মামলা দেওয়া হল না? এর থেকেই স্পষ্ট, ত্রিপুরায় বিজেপির হয়ে কাজ করছে পুলিশ৷ পুলিশের এই পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে ত্রিপুরায় তৃণমূল যে ফের বড়সড় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে তা কুণালের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷