‘মানভঞ্জনে’ শতাব্দীর বাড়িতে কুণাল, সামনেই ফোন এল মুকুলের!

‘মানভঞ্জনে’ শতাব্দীর বাড়িতে কুণাল, সামনেই ফোন এল মুকুলের!

 

কলকাতা: শতাব্দী রায়ের ফ্যান ক্লাবের তরফ সে ফেসবুক পোস্ট করা হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নিজেই জানিয়েছেন তিনি দিল্লি যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে। এই পরিস্থিতিতে শতাব্দী রায় যে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন এই জল্পনা ছড়িয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আরো চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। এমন সময় শতাব্দী রায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও তাঁর বক্তব্য, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করতে গিয়েছিলেন তিনি।

এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র। কি বিষয়ে আলোচনা হল এই নিয়ে প্রশ্ন করায় কুণাল ঘোষ বলেন, শতাব্দী রায় তাঁর পুরনো বন্ধু। ঘটনাচক্রে আজ তিনি তাঁর বাড়ি এসেছিলেন, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করেছেন। একইসঙ্গে কুণাল দাবি করেন, শতাব্দী রায় এখনো পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। তবে এর পাশাপাশি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। দলবদল প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন শতাব্দী রায়, আর তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই বিষয়ে কথা বলা তাঁর সাজে না, তাই এই নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না। এদিকে সাংবাদিকদের সামনে কুণাল ঘোষ আরো বলেন, তাঁর সামনেই শতাব্দী রায়ের কাছে ফোন এসেছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের। যদিও দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীকাল দিল্লির কর্মসূচি সারার পর শতাব্দী রায়কে কথোপকথনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুকুল। এদিকে শুধু মুকুল রায় নন, শতাব্দীকে ফোন করেছিলেন সৌগত রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ইতিমধ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায় কে। ফ্যান পেজের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, একাধিক জায়গায় দলের কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকা হয় না। কেউ কেউ হয়তো চায় না তিনি দলে থাকুন। অন্যদিকে দলকে বললেও সমস্যার সমাধান হয় না বলেও দাবি করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন শতাব্দী রায়। তবে তাঁর বক্তব্য এর আগেও এই ব্যাপারে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি কারণ ওই পর্ষদে কোন মতামত কিংবা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এমনই অভিযোগ তাঁর। অন্যদিকে আগামীকাল দিল্লি যাওয়ার পর দুপুরবেলা নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + thirteen =