কলকাতা: বাবুলের রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়ে আলোড়ন রাজ্য রানীতিতে৷ শনিবার ফেসবুক পোস্টে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। সেই সঙ্গে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও জানান তিনি। কিন্তু সোমবার রাতে জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর বাবুল জানান, সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকলেও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। থাকবেন আসানসোলের মানুষের পাশেই। কিন্তু বাবুলের এই সিদ্ধান্তে ফের আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গে বন্যায় মৃত ১৬, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফার খবরকে নাটক বলে বিঁধেছেন কুণাল। শনিবার বাবুলের পোস্ট দেখার পরেই বলেছিলেন, ‘আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিন, নাহলে নাটক বলব।’ পরে তাঁর নাটকীয়তার সাপেক্ষে শোলে ছবির দৃশ্যের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক৷ বলেন, ‘জল ট্যাঙ্কের উপর ধর্মেন্দ্র’৷ আর এবার বললেন, ‘নাটক ধরা পড়ে গিয়েছে৷ মুখ রক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ৷
গতকাল বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পরেই দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে বাবুল জানান, রাজনীতি থেকে সরলেও সাংসদ পদ ছাড়ছেন না৷ এর পরেই টুইট করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘উপনির্বাচনের খরচ নিয়ে চিন্তা হলে MP হয়েও বিধানসভায় দাঁড়ালেন কেন? ২) মন্ত্রী নেই। ঐ বাংলো আপনাকে ছাড়তেই হবে। ৩) খরচ নিয়ে ভাবলে বিমানে ইকনমি ক্লাস ব্যবহার করুন। ৪) সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ তেই আমার জামিন কনফার্ম করেছেন।’’ শেষে লেখেন, ‘‘নাটক ধরা পড়ে গেছে। মুখরক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা৷’’
আরও পড়ুন- ‘আমি আছি’, নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের কেন্দ্রকে বার্তা বাবুলের
প্রসঙ্গ, সাংসদ পদ ছাড়ার কারণ দর্শিয়ে এর আগে বাবুল ফেসবুকে লিখেছিলেন, যাঁরা এতদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা আগামী দিনেও থাকবেন। তবে এ বার আর কোনও ব্যবধান থাকবে না। কারণ সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি টাকায় যেমন কেনও নিরাপত্তারক্ষী থাকে না, তেমন সাংসদ পদ ছাড়ার পর তাঁরও নিরাপত্তারক্ষী থাকবে না। ফলে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন তিনি।