কলকাতা: সাংবাদিক বৈঠকে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন কুণাল ঘোষ। বলেন, যদি তাঁকে নিয়ে কেউ কথা বলতে চান, তবে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁর আগে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেফিট যেন পড়ে নেন।
কিছুদিন আগে শোভন অভিযোগ তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আইকোর চিটফান্ডের মালিক অনুকূল মাইতি কিছুদিন আগে জেলে মারা গিয়েছে। তার স্ত্রী কণিকা মাইতি এখন সংস্থার মালিক। তার সঙ্গে বার্ষিক অনুষ্ঠানে আইকোরকে প্রোমোট করছেন শোভন। ‘আইকোরের দালাল’, ‘আইকোরের প্রোমোটার’ বলে শোভনকে ব্যাখ্যা করেন কুণাল। তিনি বলেন আইকোর কাণ্ডে যদি সুমন চট্টোপাঝ্যায় গ্রেপ্তার হতে পারেন তবে অবিলম্বে শোভনকেও গ্রেপ্তার করা হোক। তাঁর দাবি, সিবিআই তদন্ত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শোভন।
এনিয়ে কুণাল সেন্ট্রাল কনসার্ন ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখেছেন ও এর সিডি জমা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছে শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপরই কুণাল প্রশ্ন তোলেন কবে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে? নাকি ‘যথাযথ ব্যবস্থার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েই শোভনকে বিজেপিতে নেওয়া হয়েছে? বিষয়ি ইডির কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে জানান কুণাল। তিনি এও বলেন, নারদ কেলেঙ্কারির সময় কলকাতার মেয়রের চেয়ারে বসে যাঁর ঘুষ নেওয়ার ছবি প্রকাশ পেয়েছিল তাঁকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি? কুণাল আরও বলেন, নারদ কাণ্ডের সময় আইপিএস মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে যিনি টাকা দিতে বলেছিলেন সেই মুকুল রায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। কুণাল বলেন, “সাংবাদিক গ্রেপ্তার হচ্ছে, পুলিশ গ্রেপ্তার হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিবিদ গ্রেপ্তার হচ্ছে না।” তিনি বলেন, কলকাতার তৎকালীন মেয়র শোভন গ্রেপ্তার হচ্ছে না কিন্তু মির্জা, সুমন গ্রেপ্তার হচ্ছে। শোভনকে গ্রেপ্তার করে ভুবনেশ্বরের আদালতে তোলার দাবি তোলেন তিনি।