কেন্দ্র আগে ‘কোভ্যাক্সিন কেলেঙ্কারি’ সামলাক! তোপ কুণালের

কেন্দ্র আগে ‘কোভ্যাক্সিন কেলেঙ্কারি’ সামলাক! তোপ কুণালের

কলকাতা: কসবার জাল ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ। এই চিঠির প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইট করে ‘কোভ্যাক্সিন’ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাজ করার পরামর্শ দিলেন তিনি। বিষয়টিকে ‘কোভ্যাক্সিন কেলেঙ্কারি’ বললেন কুণাল। 

আরও পড়ুন- IAS হতে হতে না পেরে অপরাধ জগতে পা! মেধাবী দেবাঞ্জনের জীবন যেন চিত্রনাট্য

এদিন টুইট করে তিনি লিখেছেন, বাংলাকে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে চিঠি পাঠানোর আগে কোভ্যাক্সিন কেলেঙ্কারির সমাধান করুন। হাজার হাজার পড়ুয়া সমস্যায় রয়েছে। বিদেশ পড়তে যাওয়ার জন্য দু’বার ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। আপনারা কী করছেন? এই প্রশ্ন তোলেন কুণাল। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতের কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিলেও এখনও পর্যন্ত কোভ্যাক্সিনকে স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ এতদিন ধরে তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে আসেনি। সম্প্রতি রিপোর্ট এলেও এতদিনে প্রচুর মানুষ বিনা রিপোর্ট দেখেই এই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে। এদিকে, ভারতের বাইরে অনেক দেশ এই ভ্যাকসিনকে মান্যতা দেয়নি এখনও। এই নিয়েই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আগেই আকর্ষণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভ্যাক্সিনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দ্রুত চেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই যারা বাইরে যাবে পড়াশুনা করতে বা কাজের সূত্রে তাদের মধ্যে অনেকেই বেসরকারি জায়গা থেকে এই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে এখন কী করণীয় সেটা পরিষ্কার হচ্ছে না। এখন এই বিষয় নিয়ে তারা আতঙ্কিত বলে দাবি করেছেন মমতা।

এদিকে, জাল ভ্যাকসিন ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকারকে যে চিঠি লিখেছিলেন এই ঘটনা সম্পর্কে তার ভিত্তিতেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে এই জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। টিকা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অনীহায় টিকাকরণ কর্মসূচি অনেক পিছিয়ে পড়ছে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়। এদিকে টিকা নিয়ে ব্যাপক রাজনীতি শুরু হয়েছে বাংলায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *