কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যাকে একহাত নিলেন কুণাল ঘোষ। সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, শোভনের মতো একজন মানুষ, যিনি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, তাঁর পাশে নিয়ে বক্তব্য রাখতে তাঁর সম্মানে লাগে না?
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আমার আলাদা করে কিছু বক্তব্য নেই। উনি শিক্ষিতা। ভারী সুন্দর দেখতে। ওনার সঙ্গে কথা বলতে আমার ভাল লাগে। কিন্তু উনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছেন কে ঘুষ নিয়েছে। আর ডানদাকে তাকিয়ে দেখুন কে দাঁড়িয়ে? শোভন! তোয়ালে মুড়ে টাকা নেয়।” বৈশাখীকে সরাসরি আক্রমণ করে কুণাল বলেন, “আপনার গ্ল্যাক্সো বেবিকে আপনি মানুষ করুন। কিন্তু আপনি চারপাশটা বুঝে নেওয়ার জন্য সময় তো দেবেন! ঘুষ নেওয়া নিয়ে আপনি দলের কোনও এমপিকে কটাক্ষ করলেন। আর পাশে বসে আপনার দকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে আপনার গ্ল্যাক্সো বেবি। এটা কেমন করে হয়?”
কুণাল বলেন, তিনি তাঁর পায় নয়, অনেক কিছু নিয়ে চিন্তিত৷ বৈশাখীর রাজনৈতিক জীবন, তাঁর পুরুষসঙ্গী কী বলছেন, তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিনি সুন্দরী, শিক্ষিতা। তিনি একজন অধ্যাপিকা। শোভন হতে পারেন তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ পুরুষ। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তি, যিনি আইকোর, সারদা, নারদ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, মেয়রের চেয়ারে বসে টাকা নেন, এমন একজনকে পাশে নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলতে তাঁর সম্মানে লাগছে না?
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শোভনের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন তিনি। কুণাল বলেন, নারদ কেলেঙ্কারির সময় কলকাতার মেয়রের চেয়ারে বসে যাঁর ঘুষ নেওয়ার ছবি প্রকাশ পেয়েছিল তাঁকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি? কুণাল আরও বলেন, নারদ কাণ্ডের সময় আইপিএস মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে যিনি টাকা দিতে বলেছিলেন সেই মুকুল রায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। কুণাল বলেন, “সাংবাদিক গ্রেপ্তার হচ্ছে, পুলিশ গ্রেপ্তার হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিবিদ গ্রেপ্তার হচ্ছে না।” তিনি বলেন, কলকাতার তৎকালীন মেয়র শোভন গ্রেপ্তার হচ্ছে না কিন্তু মির্জা, সুমন গ্রেপ্তার হচ্ছে। শোভনকে গ্রেপ্তার করে ভুবনেশ্বরের আদালতে তোলার দাবি তোলেন তিনি।