মমতা বনাম শুভেন্দুর আইনি লড়াইয়ের বিচারপতি দিলীপের সভায়! বিস্ফোরক কুণাল

মমতা বনাম শুভেন্দুর আইনি লড়াইয়ের বিচারপতি দিলীপের সভায়! বিস্ফোরক কুণাল

 

 

কলকাতা: নন্দীগ্রামে গণনায় কারচুপি হয়েছে, এমন অভিযোগে গতকাল হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে জানানো হয়, মামলার শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এবারে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিচারপতির ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন কুণাল। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম৷ ফেসবুক পোস্ট করে কুণাল ঘোষ, বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রকে কোন রাজনৈতিক মামলা না দেওয়ার জন্য অনুরোধও জানান।

গত বছরের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু বনাম মমতার লড়াই শুরু হয়। প্রথমদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো বিষয়টিকে এড়িয়ে গেলেও পরে শুভেন্দুর ‘নিম্নরুচির’ আক্রমণের জবাব দিতে শুরু করেন। নন্দীগ্রামে নির্বাচনী লড়াইয়েও ঝাপিয়ে পড়েছিলেন দু’জনেই। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দু। মাঝে কিছুদিন পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও গতকাল নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের দ্বারস্থ হলে নতুন করে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। মুখ্যমন্ত্রীর করা এই মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহল। বিচারপতির ছবি পোস্ট করে গুরুতর অভিযোগ তোলেন কুণাল ঘোষ৷ অভিযোগের বিষয়বস্তু পুরোপুরি কুণাল ঘোষের নিজস্ব, অভিযোগের সতত্য যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম৷

 

আরও পড়ুন- ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গে, কলকাতায় জারি হলুদ সতর্কতা

আজ নির্ধারিত সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। কিন্তু জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এসব মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু এই মামলার আবেদনকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না আদালতে। সেই কারণেই মামলা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২৪ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। যদিও আইনজীবীদের একাংশ দাবি করেছে, এই মামলাটির বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র একসময় কোনও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। সেই কারণেই হয়তো এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ যদিও, কুণাল ঘোষের তোলা গুরুতর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *