কলকাতা: নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে বুথের ভেতর কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, বুথের বাইরে রাজ্য পুলিশ থাকলে অসুবিধা নেই, কিন্তু ভেতরে থাকতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, হাস্যকর এবং অবান্তর দাবি করছেন দিলীপ ঘোষ। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি মৌখিক যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।
আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে আশা ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় গোটা দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছিল, কিন্তু বাংলায় সামান্য ৪২ টি আসনে ভোট হলেও ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। গুলি চলেছিল, সাধারন মানুষ শান্তি করে ভোট দিতে পারেননি। এই কারণেই আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসার পক্ষে সওয়াল করেছেন দিলীপ। তিনি বলেছেন, বুথের ভিতরে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে এবং বাইরে যদি রাজ্য পুলিশ থাকে তাহলে অসুবিধা নেই। সাধারণ মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারবেন। কারণ এর আগে বাংলার নির্বাচনের যে সন্ত্রাস এবং অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা তাহলে এবার হবে না। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র জানান, অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর এবং হাস্যকর মন্তব্য করছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কুণালের কথায়, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা অসম্ভব ব্যাপার। প্রিসাইডিং অফিসার ভোট করান এবং ভোটার ভোট দেন, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা অত্যন্ত অবাস্তব ব্যাপার। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে অবসাদগ্রস্ত এবং বিভ্রান্তিকর মানসিকতার শিকার বলে দাবি করেছেন কুণাল। তিনি আরো বলেন, লোকসভা নির্বাচনেও ভোট হয়েছে তখন তাদের অনেক সাংসদ জিতেছেন। অন্যদিকে উপনির্বাচনে বিজেপি যখন ৩-০-তে হেরেছে তখনও অবাধ নির্বাচন হয়েছে। তাই উনি যা বলছেন সেটা কখনোই হতে পারে না।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ আরও দাবি করেছেন, বাংলায় ভোটার তালিকায় নাকি ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কমিশন তাই এই মন্তব্য করে কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। একইসঙ্গে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তাদের ওপর এবং বাংলার সাধারন মানুষের জন্য অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে যাতে সুস্পষ্ট নির্বাচন না হতে পারে।
ফাইল ছবি