বগটুই-কাণ্ডে পুলিশকে মামলা ‘সাজানোর’ নির্দেশ অনুব্রতর! ‘বড় নেতা বেশি বোঝেন’, মন্তব্য কুণালের

বগটুই-কাণ্ডে পুলিশকে মামলা ‘সাজানোর’ নির্দেশ অনুব্রতর! ‘বড় নেতা বেশি বোঝেন’, মন্তব্য কুণালের

কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রে এখন বগটুই৷ আর বগটুই-কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য নিয়ে দায় এড়াল দল৷ অনুব্রতের সূচপুর-মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বললেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত৷ শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট বগটুই-কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ মেনে সিবিআই তদন্তে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। এই প্রেক্ষিতেই উঠে আসে  অনুব্রতের একটি মন্তব্য৷ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল বলেন, ‘বড় নেতা, বেশি বোঝেন’।  হাবেভাবে কুণাল বুঝিয়ে দেন অনুব্রতর ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের দায় নিতে নারাজ তাঁরা৷ 

আরও পড়ুন-সরকারের গালে চড়! বগটুই কাণ্ডে সিবিআই আসায় খুশি বিজেপি 

গতকাল বগটুইয়ে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে৷ তিনি বলেন, কড়া শাস্তি চাই, একে পেলাম, ওকে পেলাম না— এ সব আমি শুনব না৷ মুখ্যমন্ত্রী যখন ন্যায় বিচার নিয়ে কথা বলছেন, তখন অনুব্রতকে বলতে শোনা যায়, “সূচপুরে যেমন সাজিয়েছিল…। এখনও জেলে রয়েছে…।”  অনুব্রতর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামে বিরোধীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতাদের কথায় কি পুলিশ কাজ করবে৷ তাহলে সঠিক ন্যায় বিচার হবে কী ভাবে? 

দু’দশক আগে সূচপুর হত্যাকাণ্ড (নানুর হত্যাকাণ্ড)-এ মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। আর ২০২২ সালে চর্চায় বীরভূম জেলারই আরও একটি জায়গা বগটুই৷ মুখ্যমন্ত্রী বগটুইয়ে দাঁড়িয়ে নিজে বলেছেন, “এ রকম নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে, ভাবতেও পারিনি।” অপরাধীদের শাস্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কেসটা খুব ভালভাবে আটঘাট বেঁধে সাজাতে হবে। কারণ, আমি শুনেছি আগের কেস…। তিন-চার বছর আগেও এখানে একটা খুন হয়েছিল। হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছে।” এর ঠিক পরেই অনুব্রত বলেন, সূচপুরের মতো ‘কেস সাজাতে’ হবে। অনুব্রতর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই দূরত্ব রচনা করল দল।