কলকাতা: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ মুখ পড়ুল পুলিশের৷ এদিন তাঁর হয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে একের পর এক আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন৷ সওয়াল-জবাব শেষে হাজার টাকার সিকিউরিটি বন্ডে কৌস্তভের জামিন মঞ্জুর করে আদালত৷
আরও পড়ুন- দরজা ভাঙার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল! কৌস্তভের গ্রেফতারি নিয়ে ‘অন্য’ কুণাল
মাঝরাতে ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে কৌস্তভকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এর প্রতিবাদে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা৷ ৮ ঘণ্টা হেফাজতে থাকার পর ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে৷ প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বটতলা থানায় কৌস্তভের নামে অভিযোগ দায়ের করেন সুমিত সিং নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ পাওয়ার পরই হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে রাত ৩টের সময় কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ।
কৌস্তভের পরিবারের অভিযোগ, ‘বিনা কারণে’ বড়তলা থানার পুলিশ কৌস্তভকে গ্রেফতার করেছে। কৌস্তুভ গ্রেফতার হতেই কংগ্রেস এবং বাম আইনজীবীরা তাঁর পাশে দাঁড়ান। প্রদেশ কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা মধ্যরাতে কৌস্তুভের গ্রেফতারির কড়া নিন্দা করে। এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় স্তরে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা। পুলিশের বক্তব্য, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারির পর কৌস্তুভ বলেন, ‘‘বিনা কারণে আমাকে হয়রান করা হচ্ছে। এখানে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে। আমায় গ্রেফতার করায় আমার জয় হয়েছে। মাতৃসব মুখ্যমন্ত্রী পুত্র-সম কৌস্তভকে ভয় পেয়েছেন!’’
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার৷ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর জয়ের পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীর্যক মন্তব্য করেন। মমতা বলেন, অধীর-কন্যার আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে তিনি ‘অনেক কথা’ জানেন। তিনি ‘মুখ খুললে’ বিপদ হবে! এর পরেই শুক্রবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে একহাত নেন কৌস্তভ৷ তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন তিনি৷ শনিবার কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় জানান, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই কলকাতা পুলিশ কৌস্তুভকে গ্রেফতার করেছে!
কৌস্তুভ সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, তিনি দীপক ঘোষের লেখা বইয়ের ‘সফ্ট কপি’ ছড়িয়ে দেবেন। এর জন্য তাঁর বা তাঁর কোনও সতীর্থের ক্ষতি হলে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দায়ী’ থাকবেন বলেও জানান তিনি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>