কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহল কলকাতা৷ বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে অবিরাম বৃষ্টি৷ আজ সকালেও আকাশের মুখ ভার৷ দফায় দফায় বৃষ্টিতে নাজেহাল মানুষ৷ জলমগ্ন একাধিক জায়গা৷ কলকাতার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, বাঁকুড়া সহ সমস্ত জায়গার ছবিই প্রায় এক৷ পঞ্জাব থেকে বাংলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ নিম্নচাপের জেরেই এই বৃষ্টিপাত৷
আরও পড়ুন- ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর ‘হুমকি’ রত্নার, লালবাজারের দ্বারস্থ ‘আতঙ্কিত’ বৈশাখী
কলকাতায় রেসকোর্স, যাদবপুর, দেশপ্রিয় পার্ক, সুকিয়া পার্ক, পার্ক স্ট্রিট জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে৷ জলের তলায় ঠনঠনিয়া, আমর্হাস্ট স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, কসবা৷ মুকুন্দপুরে জল ঠেলে হাসপাতালে পৌঁছতে হচ্ছে রোগীদের৷ বেলা বাড়লেও ছবি বদলায়নি৷ কোথায় কোমর সমান জল, কোথাও আবার হাঁটু জলে দুর্ভোগ৷ যাঁরা সকালে অফিসের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলেন, তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে৷ কার্যত লকডাউনে যান চলাচল কম হলেও, জলমগ্ন রাস্তায় দেখা দিয়েছে যানজট৷ অনেক জায়গায় আবার বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির জল৷ জল থইথই অবস্থা বেহালা, সার্দান অ্যাভেনিউয়ে৷ জল নামতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরনিগম৷
গতকাল রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ কলকাতা শহরে কোথায় কত পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ জানা গিয়েছে, মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ৭৭ মিলিমিটার, বীরপাড়ায় ৬৩ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি ৯৬ মিলিমিটার, বেলগাছিয়া ৮২ মিলিমিটার, ধাপা ১০২ মিলিমিটার, উল্টোডাঙ্গায় ৮৫ মিলিমিটার, পামারব্রিজ ১১৫ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ১৪৮ মিলিমিটার, চেতলায় ১৫০ মিলিমিটার, মমিনপুরে ১৭৯ মিলিমিটার, কালীঘাটে ১৬৮ মিলিমিটার, বেহালায় ১১৭ মিলিমিটার, জিঞ্জিরা বাজারে ১৬৮ মিলিমিটার, কামার ডহরিতে ১৪৭ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ১৫৩ মিলিমিটার এবং দত্ত বাগানে ৫৩ মিলিমিটার৷
তার উপর সকাল ৭টা পর্যন্ত জোয়ার থাকায় লকগেল বন্ধ রাখা ছিল৷ যার জেরে আরও বেশি জলমগ্ন হয়ে পড়ে মহানগর৷ এই জল নামতে কিছুটা সময় সাগবে বলেও কলকাতা পুরনিগমের তরফে বলা হয়েছে৷ পাম্পিং স্টেশন দিয়ে জল নামামো হচ্ছে৷ তবে দুপুরের পর ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে৷