অ্যাডিনো ভাইরাসের কবলে শহর কলকাতা, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

কলকাতা: জিকা ভাইরাসের পর এবার অ্যাডিনো ভাইরাসের কবলে শহর কলকাতা| সমীক্ষা বলছে, গত দু’মাসে প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে| বর্তমানে পার্কসার্কাসের এক হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জন শিশু চিকিত্সাধীন রয়েছে|এদের মধ্যে ছয় অবস্থা গুরুতর| এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ কি? পার্কসার্কাসের ওই হাসপাতালের চিকিত্সক প্রভাস প্রসূন গিরি জানান, “প্রথমে স্বাভাবিক

অ্যাডিনো ভাইরাসের কবলে শহর কলকাতা, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

কলকাতা: জিকা ভাইরাসের পর এবার অ্যাডিনো ভাইরাসের কবলে শহর কলকাতা| সমীক্ষা বলছে, গত দু’মাসে প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে| বর্তমানে পার্কসার্কাসের এক হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জন শিশু চিকিত্সাধীন রয়েছে|এদের মধ্যে ছয় অবস্থা গুরুতর|

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ কি? পার্কসার্কাসের ওই হাসপাতালের চিকিত্সক প্রভাস প্রসূন গিরি জানান, “প্রথমে স্বাভাবিক সর্দি,কাশি, জ্বর হয়। তার পরে ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।” তাহলে সতর্ক থাকার উপায় কি? চিকিত্সক বলেন, “এই ভাইরাসে যে আক্রান্ত হয়েছে, তার থেকে অন্যদের দূরে রাখতে হবে|” ওপর এক চিকিত্সক জানান “এই ভাইরাস ছোঁয়াচে তাই প্রতিরোধ খুব কঠিন। ছোটো থেকে বড়, যে কোনও বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন”| ছোটরা যেহেতু এদিক ওদিক হাত দেয়, তাই তারা বেশি আক্রান্ত হয়। পাশাপাশিভাবে ছোটো এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কম। সেই কারণেই ছোটো এবং বয়স্করা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা ভয়াবহতার রূপ নেয়|

পরজীবী ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী বলেন, ” কলকাতায় এখন এই রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি হয়েছে। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ধরা পড়ছে। তা নাহলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রত্যেক বছরেই হয়।” চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন বাতাসে থাকে এই ভাইরাস। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে যাচ্ছে। ফলে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, নিউমোনিয়া হচ্ছে, ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণও ঘটছে। একই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। পার্কসার্কাসের বেসরকারি ওই হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, “গত দুই মাসে কলকাতায় কম করে ১০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন,”গত বছরের শেষের দিক থেকে এই রোগ নির্ণয় শুরু হয়েছে। গত বছর এইরোগের দাপট এতটা ভয়াবহ ছিল না। রোগ প্রতিরোধের কোনও উপায় এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তাই ওষুধও নেই। রোগ নির্ণয় হলে অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও প্রয়োজনে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + nine =