উৎসবের পর কোভিড পরীক্ষা পাশ করল বাংলা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কলকাতা:  বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন দুর্গাপুজোর পর করোনার সুনামি আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গে৷ দুর্গাপুজো কেটে গেছে দুদিন হয়ে গেছে৷ কী অবস্থা এখন পশ্চিমবঙ্গের? 

7e1164f9b853baabd44d88c61c4279fb

 

কলকাতা:  বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন দুর্গাপুজোর পর করোনার সুনামি আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গে৷ দুর্গাপুজো কেটে গেছে দুদিন হয়ে গেছে৷ কী অবস্থা এখন পশ্চিমবঙ্গের?

বিশেষজ্ঞরা বলছে এই গ্রাফ কতটা উর্দ্ধমুখী হয় সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত৷ অর্থাত্ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলছে বিশেষজ্ঞরা৷ তবে তারা খুব একটা ভালো ফল আশা করছে না৷ যদিও এবার জাঁকজমকহীন দুর্গাপুজো পালন করেছে কলকাতা৷ তবে তার মানে এই নয় যে মানুষের ভিড় ছিল না৷ তবে প্রতিবারের তুলনায় এবার তা অনেকটাই কম৷ এছাড়াও এবার দশমীর দিনই প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার ফলে দশমীর দিন সেরকম ভিড় দেখা যায়নি শহরের রাস্তায়৷ 

তবে প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে দ্বাদশী পর্যন্ত অনেক আবাসনের পুজোই অপেক্ষা করেছিল৷ তবে দশমীর রাতে প্রায় ৪৫০টি প্রতিমা নিরঞ্জনের সাক্ষী থেকেছে নিমতলা ঘাট৷ যদিও শহরের প্যান্ডেলগুলিতে করোনার ভয়ে এবার ভিড় যথেষ্ট কম ছিল৷ তবে চিকিত্সকদের মতে খুব বেশি লোক না এলেও ছোট ছোট জমায়েতও এই মারণ ভাইরাস ছড়াতে ষথেষ্ট ভূমিকা পালন করে৷ একইসঙ্গে অনেকে পুজোর সময় বাইরে না বেরোলেও ঘরেই বসে বন্ধুদের বা আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছে৷ সেক্ষেত্রেও সামাজীক দুরত্ব মানা হয়নি৷ এছাড়াও পুজোর সময় প্যান্ডেলে ভিড় না হলেও ভিড় ছিল শহরের রেস্টুরেন্টগুলিতে৷ যার ফলে হু হু করে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস৷  চিকিত্সকেরা আশঙ্কা করছেন, লক্ষীপুজোর পর রেকর্ড উর্দ্ধমুখী হতে পারে কলকাতায় করোনার গ্রাফ৷

আরএন টেগোরের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, শহরে ভিড়ের প্রভাব কী হতে পারে সেটা দেখার জন্য আরও একসপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে আমাদের৷ তিনি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, পুজো প্যান্ডেল বা রাস্তায় এবছর সেরকম ভিড় না হলেও ঘরে ঘরে আত্মীয় পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে চলেছে আড্ডা৷ যার ফলে সেই বিক্ষিপ্ত জমায়েতও ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে৷ সেক্ষেত্রে মানা হয়নি সামাজিক দুরত্বের বিধি এমনকী মাস্কও পড়া হয়নি৷ যার ফল ভয়ানক হতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *