কলকাতা: করোনা আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাকা মেট্রো৷ আজকেই শেষ মেট্রো চলবে বলে জানা গিয়েছে৷ মেট্রো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কলকাতার গণপরিবহণের একটা ধাক্কা৷ যার ফলে কলকাতাবাসী চাইলেও বেরতে পারবেন না বলে মনে করছেন অনেকে৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে কলকাতার ছোট খাটো যেসব বেসরকারি সংস্থা আছে, তারা যে কর্মীদের ছুটি দিতে বাধ্য হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রইল না৷ বন্ধ হচ্ছে সমস্ত ট্রেন৷ যার ফলে বাস ছাড়া আর কোনও গণপরিবহণের ব্যবস্থা থাকল না৷
রবিবার দেশ জুড়ে জনতা কারফু চলছে৷ দেশের কয়েকটি রাজ্য শাট ডাউন করলেও, বাকি অংশ মোদির এই জনতা কারফু সমর্থন করে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়েছেন৷ এই পরিস্থিতিতে আগেই রেল দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল, জনতা কারফিউ সময় কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন চলবে না৷ কোভিড-১৯কে রুখতে রেলদপ্তর জনতা কারফিউয়ের সময় নতুন ঘোষণা করল রেল দপ্তর৷ রেল দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত লোকাল ট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেন ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাতিল করা হল৷
রেল দপ্তরের তরফে এক বিববৃতিতে জানানো হয়েছে, ২২ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে না৷ কেবল মালগাড়ি চলবে৷ আগেই রেল দপ্তর জানিয়েছিল, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন চলবে না৷ সেই সময় এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো যেখানে থাকবে, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে৷ এবার যাত্রীবাহী সমস্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করে দেওয়া হল৷
রবিবার সকালে দিল্লি এবং মুম্বই স্টেশনের যে ছবি এসে পৌঁছেছে তাতে দেখা যাচ্ছে পুরো ফাঁকা স্টেশন চত্বর। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তবে দিল্লির স্টেশনে বেশ কিছু যাত্রীকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সমস্ত ট্রেন বাতিল থাকায় সমস্যা পড়েছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না তাঁরা।
মোদির ডাকে জনতা কারফিউয়ে সাড়া দেশ৷ মোদি শুধু দেশবাসীকে করোনা সংক্রমণ রুখতে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন৷ কিন্তু দেশবাসী করোনায় আতঙ্কে কাঁপছে৷ তাই সারা দেশ জুড়ে দেখা গেল অঘোষিত বন্ধের ছবি৷ রাস্তা ঘাট শুননান৷ মাঝে মাঝে এক একটা বাইক বা চার চাকা হুশ করে বেরিয়ে যাচ্ছে৷