করোনার নতুন স্ট্রেনের দাপট, কলকাতা বইমেলা নিয়ে দেখা দিচ্ছে সংশয়

কলকাতা: বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কয়েকটি দেশে জারি লকডাউন। আর সেই কারণেই ফের পিছিয়ে যাচ্ছে কলকাতা বইমেলা। রবিবার এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ড। শোনা যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বইমেলা স্থগিত থাকছে। সব ঠিক থাকলে পরবর্তী সময়ে বইমেলার আয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত দিনক্ষণ গিল্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে এজিএম সিদ্ধান্ত নেবে।

কলকাতা: বিশ্বজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কয়েকটি দেশে জারি লকডাউন। আর সেই কারণেই ফের পিছিয়ে যাচ্ছে কলকাতা বইমেলা। রবিবার এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ড। শোনা যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বইমেলা স্থগিত থাকছে। সব ঠিক থাকলে পরবর্তী সময়ে বইমেলার আয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত দিনক্ষণ গিল্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে এজিএম সিদ্ধান্ত নেবে।

পরের বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম কান্ট্রি হল বাংলাদেশ। এবারের বইমেলা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে। বইমেলায় আমন্ত্রিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে কোনও অতিথি কলকাতায় আসতে পারছেন না কলকাতায়। এছাড়া করোনার নতুন স্ট্রেনের কারণে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেও লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে সেখান থেকেও কারওর পক্ষে আসা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে মেলা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আয়োজকরা এজিএমে প্রস্তাব দেবেন বলে খবর। এদিন গিল্ডের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য কিছুসময়ের জন্য বইমেলা পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূল হলেই ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্মতি নিয়ে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২১-এ তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সাধারণত জানুয়ারির শেষে শুরু হয় কলকাতা বইমেলা। চলে ফেব্রুয়ারির গোড়া পর্যন্ত। গতবার বইমেলায় প্রায় ২৫ লাখ মানুষ এসেছিল। এই পরিস্থিতিতে এত লোক নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে যদি করোনা পরিস্থিতির জন্য জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা না হয় তবে তা কবে নাগাদ হতে পারে, তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে বলে খবর। কারণ মার্চ মাস থেকে রাজ্য জুড়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুর হয়ে যাবে। ভোট মিটতে মিটতেই পড়ে যাবে তীব্র গরম। তখন বইমেলার আয়োজন করা মুশকিল। তারপর চলে আসবে বর্ষা। তখন সমস্যা আরও। ফলে সময় নিয়ে এখনও চিন্তায় গিল্ড কর্তারা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =