ওডিশা এবং অন্ধ্র উপকূলে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। যার জেরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আর সেই ঘূর্ণাবর্তের কারণেই কলকাতাসহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। জানা গিয়েছে এই নিম্নচাপের হাত ধরেই অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা সক্রিয় হচ্ছে। তার জেরেই আগামী চার থেকে পাঁচদিন কলকাতাসহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবারের ছুটির দিন মাটি করে প্রায় সারাদিনই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে রোদের তেজ চওড়া হলেও আবহাওয়া হতাশ করবে না শহরবাসীকে। বেলা গড়াতেই বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতায় এদিন প্রধানত মেঘলা আকাশ থাকবে। দিনের যেকোনও সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে। দুটি তাপমাত্রাই এই সময়ের হিসেবে স্বাভাবিক থাকার কথা জানানো হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বৃষ্টির ফাঁকে ঘাম ঝরাবে বলেও জানানো হয়েছে। রবিবার কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি। কলকাতার সোমবারের তাপমাত্রাও এর আশেপাশেই ঘোরাফেরা করবে বলে খবর। আপাতত তাপমাত্রা আর বাড়বে না বলেই জানানো হয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচচ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরে ১৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজও প্রায় সমপরিমাণ অথবা সামান্য বেশি বৃষ্টি হতে চলেছে।
অন্যদিকে হাওড়া অফিসের তরফে পাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। এদিন সকালের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায় বর্ষা সক্রিয় হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আলিপুর। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ১২ জুলাইয়ের মধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি শুরু হবে বল খবর। অন্যদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। যে কারণে আগামী ১৩ এবং ১৪ জুলাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে দক্ষিনের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পার্বত্য, ডুয়ার্স ও সমতলের জেলায় দিনের বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। একই ভাবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় কয়েক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই এই মুহূর্তে একটানা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।